ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ইউয়েফার সরাসরি বিরোধিতা করে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ (ইএসএল) আয়োজনে বিশ্বফুটবল এখন তোলপাড়। প্রতি সেকেন্ডে যেন উত্তেজনা বাড়ছে। বিভক্ত হয়ে গেছে পুরো বিশ্ব। সবচেয়ে বড় ঝড়টা যাচ্ছে ইংল্যান্ডের উপর দিয়ে।
সেই দেশ থেকে এই ঘটনার উপরে নিজের মত দিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ জেমি ডে।
এই ইংলিশ ট্যাকটিশিয়ানের মতে, ইএসএল মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনা শুধুই একটা ‘ফন্দি’।
জেমি বলেন, ‘আমার মনে হয় না এটা ঘটবে। ক্লাবগুলো হুমকি দিচ্ছে যাতে তাদের টাকা বাড়ানো হয়।’
দীর্ঘদিন ধরেই ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলো মহাদেশের সেরা প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়নস লিগকে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানাচ্ছিল ইউয়েফাকে। মূলত তাদের দাবি ছিল বড় ক্লাবগুলো যেন লভ্যাংশ বেশি পায় যেহেতু তারাই টিভি রেটিং ও মাঠের দর্শককে বেশি আকর্ষণ করে। কিন্তু ইউয়েফা তাদের দাবিতে কান না দেয়ায় ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের বেশ কয়েকটি ক্লাব মিলে পরিকল্পনা করে সুপার লিগের।
বিষয়টি ঘোষণা করা হয় ইউয়েফার বাৎসরিক বৈঠকের একদিন আগে। এই বৈঠকে ইউয়েফা নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করে চ্যাম্পিয়নস লিগ নিয়ে। ২০২৪ সাল থেকে টুর্নামেন্টের দলসংখ্যা ৩২ থেকে ৩৬ করছে সংস্থাটি। যার অর্থ অতিরিক্ত চারটি দলে লভ্যাংশ বণ্টন হওয়া।
ইএসএলের পরিকল্পনা ইউয়েফাকে চাপ প্রয়োগ করার ফন্দি মনে করেন জেমি।
‘বেশিরভাগ মানুষই এই আইডিয়ার বিরোধীতা করছে। আমি মনে করি এটা ইউয়েফার উপর চাপ সৃষ্টির জন্য করা হচ্ছে। এটার কোনো মানেই হয় না। এই লিগে শুধু বড় ক্লাবগুলোই টাকা মুনাফা করবে। যেটা সুন্দর ফুটবলের সঙ্গে যায় না।’
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে ইংল্যান্ডও। জেমির ধারণা, ইএসএল পরিকল্পনার মধ্যেই থেকে যাবে। বলেন, ‘আমার মনে হয় না এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। কেননা ইংল্যান্ডের ছয়টি বড় ক্লাব সম্মতি দিয়েছে। তাদের এই লিগ খেলতে গেলে এফএ’র কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। যেটা সম্ভব নয় এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগও এটা মানবে না।’
দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে এর সমাধান হবে বলে মনে করেন তিনি। সুন্দর ফুটবলের জন্যই এই লিগ মাঠে না গড়াক এমনটাই চান বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ।