নাগরিকত্ব পেলেও পাসপোর্ট না হওয়ায় আসন্ন এএফসি কাপের ম্যাচে এলিটা কিংসলের খেলা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। মে মাসে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ সামনে রেখে এএফসির কাছে খেলোয়াড় নিবন্ধনের তালিকা পাঠিয়েছে কিংস। তবে কিংসলেকে নিয়েই মালদ্বীপে উড়াল দিতে চায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
এমন অবস্থায় এএফসি কাপে কিংসলে যেন আছেন আবার নেইও।
এশিয়ার ক্লাব পর্যায়ের অন্যতম শীর্ষ এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। এরমধ্যে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার এলিটা কিংসলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়ে কিংসের জার্সিতে নাম লেখান। কিংসের জার্সিতে অভিষেক করার জন্য মুখিয়ে আছেন এই ফুটবলার।
এর মধ্যে চলে এলো লকডাউন। প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বও কবে শুরু হবে তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আশা করা যাচ্ছে, মে মাসের শেষ সপ্তাহে মাঠে গড়াতে পারে লিগের দ্বিতীয় পর্ব।
তাই এএফসি কাপেই কিংসের জার্সিতে মাঠ মাতানোর সুযোগ থাকছে কিংসলের। তবে তার আগে বিপদ এসে হানা দেয়। লকডাউনের জন্য কিংসলের পাসপোর্ট হাতে পায়নি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। যে কারণে এএফসি কাপের জন্য খেলোয়াড় নিবন্ধনের শেষ দিন ১৪ এপ্রিল কিংসলেকে তালিকাভুক্ত করতে পারেনি কিংস।
তবে চেষ্টা চালিয়ে যাবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ক্লাবের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘তার পাসপোর্টের অপেক্ষায় আছি। আশা করি এর মধ্যে পেয়ে যাব। যতদূর জানি টুর্নামেন্টের এক সপ্তাহের আগে খেলোয়াড় নিবন্ধনের সুযোগ থাকে। করোনার এই সময়ে দলের স্বার্থেই কিংসলেকে মালদ্বীপে নেয়ার চেষ্টা করা হবে।’
ক্লাবসূত্রে জানা যায়, সাধারণত ৩০ জন খেলোয়াড় নিবন্ধনের সুযোগ থাকলেও এবার এএফসি ৩৫ জন ফুটবলারকে নিবন্ধনের সুযোগ করে দিয়েছে। এএফসি কাপের এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে তিন প্রবাসী বাংলাদেশী ফুটবলার তারিক কাজী ওবাইদ রহমান নওয়াব ও মাহাদী খানকে দলের সঙ্গে নেয়া হচ্ছে মালদ্বীপে।
আগামী ১৪ই মে ‘ডি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশনে বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি খেলবে কিংস। ১৭ মে কিংসের প্রতিপক্ষ দক্ষিণাঞ্চলের প্লে-অফের জয়ী দল। গ্রুপের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ২০ মে ভারতের মোহন বাগানের মুখোমুখি হবে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা।
ধারণা করা যাচ্ছে, টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে এক সপ্তাহ আগেই মালেতে পৌঁছাবে কিংস।
গত আসরে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসকে ৫-১ গোল ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ একাই চার গোল করেছিলেন আর্জেন্টাইন হার্নান বারকোস। এক ম্যাচ খেলার পর করোনার আঘাতে বাতিল হয়ে যায় টুর্নামেন্ট।