২০১৬ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে যোগ দেন পর্তুগিজ কোচ জোসে মরিনিয়ো। প্রথম মৌসুম ভালো কাটার পর দ্বিতীয় মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগে ইউনাইটেডকে দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে যান সাবেক এই চেলসি বস।
কিন্তু ভালো সময় বেশি দিন থাকেনি। তাই পরের মৌসুমেই চাকরি খোয়াতে হয়েছিল। চাকরি হারানোর আগে জানা গিয়েছিল খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার বিরোধের কথা। বিশেষ করে ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় পল পগবার সঙ্গে তার বিরোধের কথা।
ক্লাব রেকর্ড ১০৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে পগবাকে ইউনাইটেডে এনেছিলেন মরিনিয়োই। কিন্তু তৃতীয় মৌসুমে গিয়ে দুজনের বিরোধ দাঁড়িয়েছিল এমন এক অবস্থায়, যে দুইজনের কথা বলাই বন্ধ।
স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে পগবা জানান, ইউনাইটেডের বর্তমান কোচ ওলে গুনার শোলস্কায়ারের সঙ্গে মরিনিয়োর পার্থক্য এই যে, ওলে খেলোয়াড়দের বিপক্ষে যান না।
‘ওলে কখনও খেলোয়াড়দের বিপক্ষে যাবে না যেভাবে মরিনিয়ো গিয়েছেন। তিনি (ওলে) হয়তো খেলোয়াড়দের খেলাবেন না, কিন্তু তিনি এ রকম আচরণ করেন না যেন তাদের অস্তিত্বই নেই। এখানেই ওলে ও মরিনিয়োর মধ্যে পার্থক্য’, বলেন পগবা।
ফরাসি এই মিডফিল্ডার আরও জানান, মাত্র এক দিনের মধ্যে তার সঙ্গে মরিনিয়োর সম্পর্ক বদলে গিয়েছিল এবং তিনি তার কারণও জানেন না।
‘একসময় মরিনিয়োর সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল আমার। পরের দিন আমি জানি না কী হয়েছিল। এই ব্যাপারটি অদ্ভুত যে মরিনিয়োর সঙ্গে আমার কী হয়েছিল ও সেটি আমি বোঝাতে পারব না, কারণ আমি নিজেই জানি না’, বলেন বিশ্বকাপজয়ী এ মিডফিল্ডার।
শোলস্কায়ারের অধীনে এই মৌসুমে বেশ ভালো ছন্দেই আছে ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লিগে তারা আছে দুই নম্বরে, সঙ্গে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালেও পৌঁছে গেছে তারা।