করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আবারও থমকে গেছে দেশের ফুটবল। দিন যত যাচ্ছে হতাশা বাড়ছে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোর। ক্যাম্প চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে লিগের নিচের সারির দলগুলোর। বিদেশি ফুটবলারদের বেতন ও বাছাই নিয়েও বিপাকে তারা।
বাফুফের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, লকডাউন পরিস্থিতির উন্নতি না হলে লিগ মাঠে গড়াচ্ছে না।
ক্লাবগুলোর দাবি, বায়ো বাবলের মধ্যে হলেও লিগ চালিয়ে যাওয়া দরকার। নাহলে অনেক ক্লাবই চরম বিপদসীমার মধ্যে অবস্থান করবে। দর্শকহীন ম্যাচ খেলার অনুরোধও জানানো হয়েছে। সঙ্গে পারলে ক্লাবগুলোকে অতি শিগগিরই লিগের অংশগ্রহণ ফি দেয়ার তাগিদও দেয়া হয়েছে।
বছরঘুরে আবারও কঠোর লকডাউনের ঘোষণা। দলবদলের মেয়াদ ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়লেও শঙ্কা কাটেনি। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘অনিশ্চয়তার মধ্যেই আছি লিগটা কবে শুরু হবে।’
করোনা ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি ক্যাম্প চালানোর খরচ বহন করতেও হিমশিম খাচ্ছে আরেক দল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ইতোমধ্যে ফুটবলারদের ছুটি দিয়ে দিয়েছে ব্রাদার্স।
দলের টিম ম্যানেজার আমির হোসেন আমু বলেন, ‘কোচ ও প্লেয়ার যাদেরকে আনতে চেয়েছিলাম তাদেরকে আনতে পারিনি।’
মহামারিতে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিদেশি ফুটবলারদের বাছাই করতে হচ্ছে ট্রায়াল ছাড়াই। এদিকে কঠোর লকডাউনের ভেতর আগামী ১৭ এপ্রিল শেষ হচ্ছে দলবদলের সময়। ফলে সময় যত বাড়ছে ব্যয়ও বাড়ছে অথচ এখনও অংশগ্রহণ ফি পায়নি পেশাদার লিগের ক্লাবগুলো।
এ বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘আমরা ট্রাই করছি অংশগ্রহণ মানি দেয়ার। এটা করতে পারলে ক্লাবগুলো উপকৃত হবে। অতি শিগগিরই এটার একটা পজিটিভ ফিডব্যাক আমাদের ক্লাবগুলোকে দিতে পারব।’
লকডাউনের পাশাপাশি এএফসি কাপে বাংলাদেশের দুই দল ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচের শিডিউল থাকায় বাড়তে পারে লিগ শুরু অপেক্ষা। আগামী মে মাসের শেষ সপ্তাহের আগে কি লিগ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে?
পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী, ‘অবাস্তব কোনো পরিকল্পনা বা সিদ্ধান্ত নিব না যাতে ক্লাবগুলো বিপদে পড়ে যায়।’