ঘরের মাঠে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলার সুযোগ হারালেও এএফসির নির্দেশনা মেনে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে নেপালকে চূড়ান্ত করেছে ঢাকা আবাহনী। ভেন্যু নিয়ে সমস্যার সমাধান আসলেও বিপাকে রয়েছে দেশের ক্লাব ফুটবলের অন্যতম শীর্ষ দলটি।
ঘরের মাঠে ১৪ তারিখের বদলে ২১ এপ্রিল নেপালে মালদ্বীপের ক্লাব ইগলসের সঙ্গে খেলার কথা আবাহনীর। শঙ্কাটা এখানেই।
এরই মধ্যে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করা হয়েছে লকডাউনে। এতে ম্যাচ খেলতে যেতে হলে বিশেষ চার্টার্ড বিমানে করে নেপালে যেতে হবে আবাহনীকে। যা ব্যয়বহুল। এই খরচটা বহন করবে না অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আনফা)। আবাহনীকেই নিতে হবে খরচের ভার।
এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান অবস্থা জানিয়ে সোমবার এএফসিকে চিঠি পাঠিয়েছে আবাহনী।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন ক্লাবের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু।
‘এএফসি আমাদের নিরপেক্ষ ভেন্যুর কথা বলেছিল। আমরা ১১ তারিখের মধ্যেই তা জানিয়ে দেই। এখন দেশের লকডাউনের ঘোষণায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। আর বিশেষ চার্টার্ড বিমানে করে যাওয়া আমাদের পক্ষে ব্যয়সাধ্য হবে। পরিস্থিতির অগ্রগতি নিয়ে এএফসিকে চিঠি পাঠাব আজ।’
এএফসির সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে আকাশি-হলুদ বাহিনীরা। তবে প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে চায় ক্লাব ম্যানেজমেন্ট। ম্যাচের আগে ক্লাবে যোগ দিয়েছেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে চিজোবা।
ঘরের মাঠের খেলার সুযোগ হারালে নেপালে জয়ের ব্যাপারে ইতিবাচক দলের পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস।
‘দেখুন এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এখানে আমাদের আসলে কিছু করার নেই। আমরা খেলতে প্রস্তুত। যেখানেই হোক। নেপালে জাতীয় দল খেলে এসেছে। আমার দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার ছিল। এটা একটা ইতিবাচক দিকও।
‘তবে বাংলাদেশে খেললে আমরা সহজে জয় পেতাম। নেপালেও আশা করি পূর্ণ পয়েন্ট পাব। ইগলসের খেলা আমি দেখেছি। কিছু জায়গায় দুর্বলতা আছে, সেগুলোর সুযোগ নিতে হবে। সানডে যুক্ত হওয়ায় আক্রমণ ভাগের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।’