আর্থিক বিষয়ে বাফুফের হিসেবে গড়মিল খুঁজে পাওয়াসহ ফিফার ফান্ড বন্ধ করে দেয়ার ঘটনাকে নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ফেডারেশনের দাবি, আর্থিক হিসেবে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা জন্য তাগিদ দিয়েছে ফিফা। ফান্ড স্থগিতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মঙ্গলবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বাফুফের ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
তিনি দাবি করেন, বাফুফেকে আর্থিক সংক্রান্ত কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছ্বতা, নিরপেক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ফিফা থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। যার ফলে ভবিষ্যতে ফিফার ফরোয়ার্ড প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারে।
আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমাদের যে ফান্ড দেয়া হয়, স্যালারি, গভর্নেন্স, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিল এসবে কোনো ফান্ড স্থগিত করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নিয়মিতভাবেই ফান্ড পাচ্ছি। আর্থিক হিসেবে এএফসি ও ফিফা সন্তুষ্ট।’
ফিফার সঙ্গে এ বিষয়ে মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সভা করেছে ফেডারেশন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফিফা মেম্বারস অ্যাসোসিয়েশন ডিপার্টমেন্ট, ফাইনান্স ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাগণ। বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
বলেন, ‘ফিফা আমাদের বলে একটা ফাইনান্সিয়াল পলিসি করতে। ফিফা একজন কন্সালটেন্টের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয় ছয়মাস। আমাদের টেন্ডারিং মেথড, পেমেন্ট প্রসিডিউর, আমরা যেসব ভেন্ডরদের সঙ্গে কাজ করি এসব বিষয়ে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য ফিফা আমাদের তাগিদ দিচ্ছে।
ফেডারেশনের দাবি, শুধু কভিড ফান্ডিং পায়নি দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল সংস্থা। না পাওয়ার কারণ হিসেবে ফেডারেশনের খামখেয়ালি রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন সোহাগ।
বলেন, ‘ফিফা থেকেও নির্দিষ্ট ফান্ডের বাইরেও কিছু ফান্ড আছে যেমন কভিড ফান্ডিং। আমরা অ্যাপ্লাই করেছি পাইনি। বিভিন্ন ফরোয়ার্ড প্রজেক্টের ফান্ডিং যেখানে প্রায় দুই মিলিয়নের উপর টাকা পড়ে আছে। আমরা নিতে পারছি না। এমনিই করোনা পরিস্থিতি।
‘ওদের কথা হচ্ছে করোনা তিন-চার মাসের পরে নিউনরমালে চলে যায়, পরিবেশ-পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তো প্রজেক্টের কাজ শুরু হবে। তোমরা যদি না করো তাহলে তোমাদের এই পেমেন্টগুলো দিতে পারব না। সো তোমাদের তাগিদ দিচ্ছি এই কাজগুলো করো। আমরাও হয়তো সিরিয়াসলি নেইনি।’
এ বিষয়ে ফিফার কাছে সহযোগিতা চেয়েছে ফেডারেশন।
সোহাগ বলেন, ‘আমরা তাদের কাছে কনসাল্টেন্ট চেয়েছি। প্রয়োজনবোধে সে একাধিকবার দেশে আসবে। আমাদের ফাইনান্সিয়াল ইস্যুগুলোতে বা বর্তমান কার্যক্রমে কোনো সমস্যা নেই। তবে তারা আমাদের আরও ভালো হওয়ার তাগিদ দিয়েছে। বেস্ট প্রসিডিউরটা ফলো করার তাগিদ দিয়েছে।’
ফিফা গেল মেয়াদের হিসেবে গড়মিল খুঁজে পেয়েছে বলে জানান বাফুফের সাধারণ সম্পাদক।
বলেন, ‘২০১৬-১৭ সালে আমাদের বাফুফের পেমেন্টগুলো অনিয়মিত ছিল। আজকে মিটিংয়ে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছে ফিফা। কোচদের পেমেন্ট, টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পেমেন্ট, বিদেশি কোচদের পেমেন্ট এসব নিয়মিত করতে বলেছে।
‘মে মাসের মধ্যে আমাদের আপডেট দিব। তাদের কাছেও আমাদের অনুরোধ ছিল আমাদের সহযোগিতা করতে।’