চুক্তিটা শেষ হওয়ার কথা এই বছরের জুনে। নবায়ন করবেন নাকি চলে যাবেন, সেটি নিয়েই চলছিল গুঞ্জন। সেই গুঞ্জনের ইতি টানলেন সার্জিও আগুয়েরো।
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে সোমবার তিনি জানান, এই মৌসুম শেষেই ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়ছেন। ৩০ জুন চুক্তি শেষ হওয়ার পর ১০ বছরের সিটি ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন আগুয়েরো।
২০১১ সালে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে ৪০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে এই আর্জেন্টাইনকে দলে ভেড়ায় ম্যান সিটি। এরপর আগুয়েরো সিটির জার্সি গায়ে ভেঙেছেন একের পর এক রেকর্ড।
সিটির জার্সি গায়ে ম্যাচ খেলেছেন ৩৮৪টি। তাতে গোল ২৫৭টি; অ্যাসিস্ট ৭৩টি। প্রিমিয়ার লিগে করেছেন ১৮১ গোল, যা বিদেশি কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ গোল।
সিটির হয়ে চারটি প্রিমিয়ার লিগ, একটি এফএ কাপ, পাঁচটি লিগ কাপ ও তিনটি কমিউনিটি শিল্ড শিরোপা জিতেছেন আগুয়েরো।
‘দারুণ কিছু অর্জনসহ কেটেছে এই ১০ বছর, যার মধ্যে আমি এই ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার ইতিহাস গড়তে পেরেছি এবং যারা এই ক্লাবকে ভালোবাসে তাদের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য এক বন্ধন গড়েছি, তারা চিরকাল আমার হৃদয়ে অবস্থান করবে’, টুইটারে লেখেন আগুয়েরো।
আগুয়েরোর ঘোষণার পর ম্যানচেস্টার সিটি জানায়, তাদের ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামের বাইরে তৈরি করা হবে আগুয়েরোর ভাস্কর্য। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আগুয়েরোর সাবেক দুই সতীর্থ ভিনসেন্ট কোম্পানি ও ডেভিড সিলভার ভাস্কর্যের কাজ। সেখানে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে যুক্ত হবেন আগুয়েরো।
ম্যান সিটির চেয়ারম্যান খালদুন আল মুবারক বলেন, ‘গত ১০ বছরে ম্যান সিটিতে সার্জিওর অবদান বলে শেষ করা যাবে না। যারা ক্লাবকে ভালোবাসে তাদের স্মৃতিতে আজীবন গেঁথে থাকবে তার কীর্তি; হয়তো যারা ফুটবল ভালোবাসেন তাদের মনেও।’
এই মৌসুম শেষে আগুয়েরো কোথায় যাবেন, সেটি নিয়েই আপাতত জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, বন্ধু লিওনেল মেসির সঙ্গে খেলতে পাড়ি জমাবেন বার্সেলোনায়।
তবে বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কুম্যান অবশ্য আগুয়েরোর নিয়মিত চোটে পড়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাই আপাতত নিশ্চিত নয় আগুয়েরোর বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া।