২০০৩ সালের পর দীর্ঘ ১৫ বছরের ট্রফি জেতার অপেক্ষার অবসান ঘটাতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মাঠে নামে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধ পর্যন্ত করুণ ফুটবল উপহার দেয় জামাল ভূঁইয়ারা। লাল-সবুজদের অগোছালো ফুটবলের ফায়দা সুদে-আসলে তোলে নেপাল। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ রেখে প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে যায় হিমালয়ের দেশটি।
দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে সোমবার বিকেল পৌনে ছয়টা শুরু হওয়া ম্যাচে ২-০ গোলে পিছিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
ফাইনালে বাংলাদেশের স্কোয়াডে চমক। টুর্নামেন্টে অভিষেক করা দুই নবাগত ডিফেন্ডার রিমন হোসেন ও মেহেদী হাসানকে মূল একাদশে সুযোগ করে দেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে। ফরোয়ার্ড লাইন আপ শক্তিশালী করতে মাঠে নামানো হয় পাঁচ আক্রমণভাগের ফুটবলার। ফরোয়ার্ড সাদ উদ্দীন খেলেন ডিফেন্ডার হিসেবে।
প্রথমার্ধজুড়ে মাঝমাঠেই যেন খাবি খায় বাংলাদেশ। মাঝমাঠ হারিয়ে মাসুল দিতে হয়েছে রাফি ছাড়া অনবিজ্ঞ রক্ষণভাগকে। দুটি গোল হজম করে বসে সফরকারি বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য নিয়ে খেলে নেপাল। বেশ কিছু সুযোগও তৈরি করে আয়োজক দল। ১২ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে একটি ক্রস ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি তিরদেব গুরাঙ। বল ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার রাফি।
১৭ মিনিটে নেপালের দারুণ একটা সুযোগ কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেন আনিসুর রহমান জিকো।
তাতে অবশ্য লাভ হয় না। কর্নার থেকে পরের মিনিটেই লিড নিয়ে ফেলে নেপাল। কর্নার থেকে আসা বলটা প্রাথমিকভাবে রাকিব ক্লিয়ার করলে ফিরতি শটে বল ডান প্রান্ত দিয়ে জালে জড়ান আনমার্ক থাকা সঞ্জক রাই।
এক গোলে এগিয়ে যায় আয়োজক দেশ নেপাল।
২৮ মিনিটে প্রথম কর্নার, জাামল ভূঁইয়া। ডি-বক্সের ভেতরে হাওয়ায় ভেসে আসা বলটা ঠিকমতো হেড করতে পারেনি কেউ। বল ক্লিয়ার করে বলের দখল নেয় রোহিদ চান্দরা।
উল্টো পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের ৩০ মিনিটে ডিফেন্ডার রিয়াদুল রাফির ভুলে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত নেপাল। রাফি বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল নিয়ে ডি-বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েন নেপালের ফরোয়ার্ড অঞ্জন বিস্তা। এই অবস্থায় এগিয়ে আসেন গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। তাকে আসতে দেখে চিপ করে জালে জড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন বিস্তা। বল চলে যায় বারের একটু উপর দিয়ে।
ম্যাচে সমতায় ফেরার চেষ্টায় কিছুটা গুছিয়ে ওঠার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। কর্নার আদায় করে নেয় ম্যাচের ৩৪ মিনিটে। জামালের নেয়া শট সহজেই ক্লিয়ার করে নেপাল। ওই আক্রমণে আরেকটি ফাউল আদায় করে নেয় লাল-সবুজরা। জামালের দেয়া বাঁকানো ক্রসটা মেহেদীর হেডে চলে যায় বারের উপর দিয়ে। আরেকবার হতাশ হয়ে নেপালের রক্ষণ থেকে ফিরতে হয় বাংলাদেশকে।
৪২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেপাল। ডিফেন্ডার রিমনের সামনে থেকে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন বিশাল রাই। ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান এই স্ট্রাইকার।
দুই গোলে পিছিয়ে বিরতি যায় বাংলাদেশ।
এই অবস্থায় দ্বিতীয়ার্ধে ছক বদালাতে পারেন জেমি। ডিফেন্সে ও মাঝমাঠে বদল দেখা যেতে পারে।