বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গী নেপাল

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২১ ১৯:৪৬

কিরগিজদের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে জয় পায় টাইগাররা। আর একই দলের সঙ্গে আয়োজক নেপাল গোলশূন্য ড্র করে বসায় ফাইনাল নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। তাই আজকের ম্যাচে হারলেই বিদায় হতো নেপালের। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বাংলাদেশকে রুখে দিয়ে ফাইনালে চলে গেল হিমালয়ের দেশটি।

ত্রিদেশীয় সিরিজে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে নিয়মরক্ষার ম্যাচে ড্র করে আয়োজক নেপাল। তাই কার্ডের নিয়মে ফাইনালে ২৯ মার্চ বাংলাদেশের সঙ্গী হিমালয়ের দেশটি। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল কিরগিজস্তানের অলিম্পিক দল।

কিরগিজদের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে জয় পায় টাইগাররা। আর একই দলের সঙ্গে আয়োজক নেপাল গোলশূন্য ড্র করে বসায় ফাইনাল নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। তাই আজকের ম্যাচে হারলেই বিদায় হতো নেপালের। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বাংলাদেশকে রুখে দিয়ে ফাইনালে চলে গেল হিমালয়ের দেশটি।

শনিবার দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হওয়ায় ফেয়ারপ্লে নিয়মে ফাইনালে চলে নেপাল।

টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির প্রথম থেকেই জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে বলে আসছিলেন, এবার নতুনদের সুযোগ করে দিবেন জাতীয় দলে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে দল গোছানোই মূল ফোকাস রাখছেন এই ইংলিশ টেকটিশিয়ান।

প্রথম ম্যাচে জয়ের পর ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় তাই দ্বিতীয় ম্যাচটা নিয়মরক্ষার হয়ে পড়ে জেমি। স্কোয়াডে থাকা অন্য খেলোয়াড়দের পরখ করার সবচেয়ে বড় সুযোগটাও পেয়ে যান তিনি। তাই প্রথম ম্যাচের মূল একাদশের কোনো খেলোয়াড়কেই রাখেননি আজকের ম্যাচে।

অভিষেক করিয়েছে দুই ডিফেন্ডার মোহাম্মদ ইমন ও মেহেদী হাসানকে। সঙ্গে গোলকিপিংয়ে আনিসুর রহমান জিকোর বদলে গোলকিপিংয়ে সুযোগ করে দেন শহিদুল আলম সোহেলকে।

ম্যাচের প্রথমার্ধে দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে যেন বাংলাদেশের দাপটই দেখে হিমালয়বাসী। গোলশূন্য ম্যাচে একাধিক দারুণ সুযোগ তৈরিসহ পেনাল্টি বিতর্ক নিয়ে আয়োজকদের চেপে ধরেছিল জামাল ভূঁইয়ারা। দ্বিতীয়ার্ধে সেভাবে বড় কোনো সুযোগ তৈরি করে গোলের মুখ না দেখায় গোলশূন্য ড্রয়ে ম্যাচটি শেষ হয়।

ম্যাচের শুরুতে আয়োজন নেপাল এলোমেলো কিছু সুযোগ তৈরি করলেও মিনিট দশেকের ভেতরে ম্যাচের টেম্পো ধরে ফেলে বাংলাদেশ। পরে একের পর এক আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে নেপালের রক্ষণ ব্যস্ত রাখেন সুমন-রাকিব-আব্দুল্লাহরা। ম্যাচের ১০ মিনিটের মধ্যে একটা দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। বাম প্রান্ত থেকে উড়ে আসা বলটা মাথায় ঠিকমতো জমাতে পারেননি সুমন রেজা।

এদিকেও একটা গোলের আশায় যারপরানই ব্যতিব্যস্ত থাকা নেপালও ২১ মিনিটে দারুণ সুযোগ তৈরি করে। বাম প্রান্ত থেকে ত্রিদেব গুরাঙ্গের ক্রসটা বক্সের ভেতরে একেবারে ফাঁকায় পেয়েও বারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন অঞ্জন বিস্তা।

পিছিয়ে থাকেনি টাইগার। লাগাতার চাপে সুযোগ আসে বাংলাদেশেরও। ৩৪ মিনিটে বল নিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েন আব্দুল্লাহ পারভেজ। তাকে ফেলে দেন নেপালের ডিফেন্ডার রোহিত চান্দ। রাকিব পেনাল্টির জোরালো আবেদন করলেও রেফারি সাড়া না দিয়ে খেলা চালু রাখেন।

ফলে আরও একবার হতাশ হয় টাইগারদের। অবশ্য ৩৬ মিনিটে হাফ ছেড়ে বাঁচে নেপাল।

সেট পিস থেকে জামাল ভূঁইয়ার ক্রসে ভেসে আসা বলটা দুর্বল হেড করেন মানিক মোল্লা, সিক্স ইয়ার্ডের ভেতর থেকে ক্লিয়ার করলে ফিরতি বলেও ডিফেন্ডার মেহেদীর হেড জালের দেখা খুঁজে পায়নি।

ম্যাচের ৪০ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার দুর্দান্ত ফ্রি-কিক একেবারে বারের গা ঘেষে চলে যায় বারের বাইরে। প্রথমার্ধে কোনো গোলের দেখা পায়নি দুই দল। তাই দ্বিতীয়ার্ধ আরও জমজমাট খেলার আভাস দিচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

দ্বিতীয়ার্ধেও সেভাবে বড় সুযোগ আদায় করতে ব্যর্থ হয় দুই দল। শেষে যেন ড্র হলেই বাঁচে নেপাল। এই অবস্থায় ম্যাচটা শেষও হয় কোনো গোল ছাড়াই।

ফলে ফেয়ারপ্লের নিয়মে কম কার্ড দেখে ফাইনালে চলে যায় নেপাল। ২৯ মার্চ একই ভেন্যুতে হবে ফাইনাল ম্যাচটি।

এর আগে সবশেষ গতবছরের নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ। তবে দুই ম্যাচ সিরিজটা জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ।

এ বিভাগের আরো খবর