বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বাংলাদেশের পাসপোর্টে আসিনি, বঙ্গবন্ধুর নামে এসেছি’

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২১ ১৭:২৮

বাদ জোহর মতিঝিলের বাফুফে ভবনের পাশে ঝিলপাড় জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া শেষে দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করে ফেডারেশন। দুপুরে বাফুফে ভবনে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

বুধবার বাদ জোহর মতিঝিলের বাফুফে ভবনের পাশে ঝিলপাড় জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া শেষে দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করে ফেডারেশন।

দুপুরে বাফুফে ভবনে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার একটাই কারণ বঙ্গবন্ধুর আদেশের উপরে, বক্তব্যের উপরে। আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে আছি এটা সম্পূর্ণ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের জন্য। ওনার জন্য আজ আমরা ফুটবল ফেডারেশনের চেয়ারে আছি, অনেক সাংসদ হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে নিজের সরাসরি সম্পৃক্ততা তুলে ধরে সভাপতি বলেন, ‘ওনার সঙ্গে একসঙ্গে খেয়েছি। তার পরিবারের সঙ্গে চলেছি। তার কন্যা দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবাইকে তখন থেকে আমি চিনি। এটা আমার সৌভাগ্য। সৌভাগ্যবান মনে হয়, বাফুফের সভাপতি থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করার সুযোগ হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু নিজেও ফুটবল খেলেছেন। তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও সেই ক্রীড়া নিবেদন এখনও অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তিনি স্পোর্টসম্যান ছিলেন, তার পরিবারের সবার মধ্যে সেই স্পোর্টস স্পিরিট ছিল। এটা তাঁর পরিবারের সব সদস্যের রক্তে ছিল।’

বঙ্গবন্ধুর মর্ম বোঝাতে গিয়ে নিজের একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন সালাউদ্দিন।

‘বঙ্গবন্ধু কী ছিলেন একটা ঘটনার মধ্য দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়। ১৯৭৩-৭৪ সালের দিকের ঘটনা। আমরা দেশের বাইরে ছিলাম। এক শহর থেকে আরেক শহরে যাচ্ছি ট্রেনে। জার্মানির বর্ডার পার হচ্ছিলাম। ইমিগ্রেশন অফিসার ছিলেন ট্রেনে। উনি পাসপোর্ট চেক করলেন। উনি কিছু চিনতে পারছেন না বাংলাদেশ কোথায়। পারলে আমাকে ট্রেন থেকে নামায় দেয়।

"আমার উলটো দিকে একজন ডাচ ভদ্রলোক বসেছিলেন। উনি ম্যাগাজিন পড়ছিলেন আর আমাদের লক্ষ্য করছিলেন। উনি আমাকে বললেন ‘আর ইউ ফ্রম মুজিবুর রহমান’স কান্ট্রি?’ আমি বললাম, ইয়েস ইয়েস। এটা শুনে ইমিগ্রেশন অফিসার বলে উঠলেন, ‘আই নো শেখ মুজিবুর রহমান, আই নো শেখ মুজিবুর রহমান। সঙ্গে সঙ্গে পাসপোর্টে সিল দিল।"

এটাই বঙ্গবন্ধুর গৌরব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৪০-৪৫ বছর পরেও আমার চোখের সামনে সেই ঘটনা ভাসছে। আমি বাংলাদেশের পাসপোর্টে আসিনি, বঙ্গবন্ধুর নামে এসেছি।’

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সহ- সভাপতি আতাউর রহমান ভূ্ঁইয়া, সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, ফিফার কার্যনির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ, সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, কর্মকর্তা ও কর্মচারি এবং বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।

এ বিভাগের আরো খবর