মাঝে শুধু নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হোঁচট। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ১৮ ম্যাচের মধ্যে ১৭টি জিতে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে তারা। কট্টর বিরোধীপক্ষও স্বীকার করে নিতে বাধ্য হচ্ছে যে, ম্যানচেস্টার সিটির ইংলিশ লিগ শিরোপা জেতা সময়ের ব্যাপারমাত্র।পেপ গার্দিওলার দল তাদের সেই ফর্মের ঝলক এবার দেখাল ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে। শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে মঙ্গলবার রাতে জার্মানির বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখকে ২-০ গোলে হারায় সিটিজেনরা। প্রথম লেগ একই ব্যবধানে জেতায় ৪-০ অ্যাগ্রেগেটে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হলো তাদের।প্রতিপক্ষের মাঠে ২-০ গোলে জিতে আসায়, নিজ মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে নির্ভার হয়ে খেলা শুরু করেন গার্দিওলার শিষ্যরা। ১২ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার গোল ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে ফেলে গ্লাডবাখকে। শঙ্কা যেটুকু ছিল সেটাও ধুয়েমুছে যায় ছয় মিনিট পর ইলকায় গুন্দোয়ানের গোলে।প্রথমার্ধেই গেম-সেট-ম্যাচ নিজেদের নামে করে নেয় ম্যানচেস্টার সিটি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে রদ্রি, ক্যানসেলো ও গুন্দোয়ানকে বিশ্রামে পাঠান গার্দিওলা। বদলি নেমে স্টার্লিং-ফার্নানদিনিয়োরা অনায়াসেই ম্যাচ শেষ করে আসেন।পুরো ম্যাচে একবারের জন্যও মনে হয়নি সিটি বিপদে পড়তে পারে। ম্যাচ শেষে টিভি চ্যানেল বিটি স্পোর্টকে তেমনটাই জানান গার্দিওলা।‘ভালো একটা ম্যাচ ছিল। শুরু থেকেই আমরা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছি। ফিল ফডেন ও বার্নারদো সিলভার মতো খেলোয়াড়রা থাকায় সেটি আরও সহজ হয়েছে। সবাই অনেক বেশি নিবেদিত ছিল। খুবই খুশি পরের ধাপে যেতে পেরে।’
শনিবার এভারটনের বিপক্ষে এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে পুরো শক্তির খেলোয়াড়দের চাই সিটি বসের। তাই এতগুলো পরিবর্তন, জানালেন পেপ।‘এখন আমাদের সবাই ফিট আছে। যে কারণেই ছয়-সাতজন খেলোয়াড় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাতে পারছি। একাধিক প্রতিযোগিতায় শিরোপা জিততে হলে আপনাকে ফ্রেশ থাকতে হবে। মৌসুম অনেক লম্বা। অক্টোবর থেকে এক সপ্তাহ ছুটি পাইনি।’এখনও ম্যানচেস্টার সিটির সামনে ‘কোয়াড্রুপল’ জেতার সম্ভাবনা আছে। ইপিএলে তারা আছে শীর্ষে, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও এফএ কাপে খেলছে কোয়ার্টার ফাইনালে। আর লিগ কাপের ফাইনালে ২৫ এপ্রিল টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে লড়বে তারা।বিশ্বসেরা কোচের তকমা তো অনেক আগেই সেঁটে গেছে তার গায়ে। এক মৌসুমে অভাবনীয় চার শিরোপা জিতলে পেপ গার্দিওলা নিঃসন্দেহে সর্বকালের সেরা কোচের তকমাটা পাবেন। স্প্যানিশ ট্যাকটিশিয়ানের লক্ষ্যটা এখন ঠিক সেটাই।