পর্তুগিজ কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোর মতো চুলের ঝুটি করেছেন। শুধু ঝুটি নয়, গোলের পর উদযাপনটাও তেমনি করেন বাংলাদেশ পুলিশ এফসির স্ট্রাইকার মোহাম্মদ জুয়েল। রোনালডোকে জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা মানা এই জুয়েলকে মনে ধরেছে জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ জেমি ডের।
ব্যাক আপ দল (অনূর্ধ্ব-২৩) থেকে জাতীয় দলের মূল স্কোয়াডে সুযোগ করে নিলেন বিকেএসপির এই স্ট্রাইকার।
আক্রমণে সুফিল-মতিন মিয়া-সুমন রেজা-আব্দুল্লাহ পারভেজদের সঙ্গে জুয়েলকে সুযোগ দেয়ার ব্যাপারে জেমি ডে বলেন, ‘আমরা আক্রমণভাগে গুরুত্ব দিচ্ছি। পর্যাপ্ত ডিফেন্ডার ও মিডফিল্ডার আছে দলে। তাই আক্রমণে তাকে নেয়া।’
মতিঝিলের আরামবাগে ২০০১ সালে জন্ম নেয়া জুয়েল ২০১৩ সালে বিকেএসপিতে ভর্তি হন। পরে জাতীয় দলের বয়সভিত্তিক দলেও জায়গা করে নেন। অনূর্ধ্ব-১৬ দলে খেলার পর প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক করেন আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের জার্সিতে। দু’বছর সেখানে কাটিয়ে এবার নাম লেখান বাংলাদেশ পুলিশ এফসিতে।
এই মৌসুমে পুলিশের জার্সিতে দুই গোলের পাশাপাশি দুইটি অ্যাসিস্ট আছে তার। এরপরই জেমির নজরে পড়লে নেপালের ত্রিদেশীয় সিরিজে অনূর্ধ্ব-২৩ স্কোয়াডে জায়গা পান তিনি। সেখান থেকেই জাতীয় দলে সুযোগ পান এই ফরোয়ার্ড।
এতে রোনালডোর প্রসঙ্গের যৌক্তিকতা নিজেই জানালেন জুয়েল। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘রোনালডো ছোটবেলা থেকেই অনুসরণ করি। তার মতো স্ট্রাইকার হতে চেয়েছি। খেলায় তার স্টাইলটা ভীষণ পছন্দ আমার। রোনালডোর অ্যাগ্রেসিভনেস সবসময় ইনজয় করি। আমার খেলার জীবনে তার অবদান অনেক।’
জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলনের সময় নতুন পরিবেশে সতীর্থ বড় ভাইরা উৎসাহ জুগিয়েছেন বলে জানান তিনি। মূল স্কোয়াডে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত জুয়েল বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। আমি এসেছিলাম অনূর্ধ্ব-২৩ এর অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে। চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার জন্য। আমি যাই করবো ভালো করার চেষ্টা করবো। কোচকে (জেমি) ধন্যবাদ।
অনেক ফুটবলার সফল না হতে পেরে খেলা ছেড়ে দেন। আপনার ক্ষেত্রে কেমন হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে এই রোনালডো ভক্ত বলেন, ‘মাত্র আমার জাতীয় দলের ক্যারিয়ার শুরু। ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো। তবে খারাপ কিছু হলে যে সব শেষ হয়ে যাবে তা না। সামনে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট ও বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে সুযোগ থাকলে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো।’
দলে স্ট্রাইকার পজিশনেও একটা চ্যালেঞ্জ থাকছে। সেই চ্যালেঞ্জ নিতে আত্মবিশ্বাসী জুয়েল। বলেন, ‘স্ট্রাইকার পজিশনে খেলতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি। সুমন রেজা ফর্মে আছেন। বেশ কয়েকটি গোল করেছেন। সুফিল, সাদ-মতিন মিয়ারা সবাই ভালো। যারা আছেন সবাই গোল করেছেন। জায়গা করে নেয়াই আমার চ্যালেঞ্জ।’
রোনালডোর মতোই একটাই লক্ষ্য তার। আত্মবিশ্বাস নিয়েই বললেন, ‘আমার একটাই টার্গেট সেটা হচ্ছে গোল করা।’