বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কে সামলাবেন গোলবার

  •    
  • ১৫ মার্চ, ২০২১ ২০:২৬

এবার প্রিমিয়ার লিগে কিংসকে সাতবার ক্লিনশিট উপহার দিয়েছেন জিকো। আর শহীদুল আলম সোহেল আবাহনীকে পাঁচবার এবং আশরাফুল ইসলাম রানাও শেখ রাসেলকে পাঁচবার ক্লিনশিট উপহার দিয়েছেন।

নেপালের ত্রিদেশীয় সিরিজ সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। নতুন-পুরান মিলিয়ে এবারও জাতীয় দলের স্কোয়াডে গোলকিপারের তালিকায় সেই চেনা তিন মুখ। আবাহনীর শহীদুল আলম সোহেল, শেখ রাসেলের আশরাফুল ইসলাম রানা ও বসুন্ধরা কিংসের আনিসুর রহমান জিকো।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। তাই এই তিন গোলকিপারের মধ্যেও মূল স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া নিয়ে যে একটা শীতল যুদ্ধ চলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্ব শেষে তিন গোলকিপারের পারফরম্যান্স ও পরিসংখ্যানের বিচারে অবশ্য কিছুটা এগিয়ে থাকবেন জিকো। সবমিলে কিংসকে সাতবার ক্লিনশিট উপহার দিয়েছেন তিনি। কোনো হার নেই।

অন্যদিকে পাঁচ ম্যাচে আবাহনীকে ক্লিনশিট উপহার দিয়েছেন শহীদুল আলম সোহেল। দল চার ড্র ও একটিতে হেরেছে। সমান সংখ্যক ম্যাচে ক্লিনশিট দিয়েছেন শেখ রাসেলের গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা। তার দল দুটিতে ড্র ও চারটিতে হারের ‍মুখ দেখেছে।

তাই এবার দুই অভিজ্ঞ গোলকিপার সোহেল ও রানার সঙ্গে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে মূল দলে জায়গা করে নিতে হবে জিকোকে।

অবশ্য জিকোর মুখে চ্যালেঞ্জ বেড়ে যাওয়ার কথাই শোনা গেল। অনুশীলন শেষে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলে কিন্তু সবাই বেস্ট প্লেয়ার, এখানে রানা ভাই আছে, সোহেল ভাইসহ নেপালে অ-১৬ চ্যাম্পিয়নসশিপ জেতা মিতুল আছে। তাই এখন আমার চ্যালেঞ্জটা আরও বেড়ে গেল।’

গত বছরের নভেম্বরে নেপালের সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের মধ্য দিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম ম্যাচটি খেলেন জিকো। পরের ম্যাচে পরীক্ষিত গোলকিপার রানা মূল স্কোয়াডে ফিরলে সাইডবেঞ্চে বসতে হয় জিকোকে। পরে তা পুষিয়ে যায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কাতারের বিপক্ষে ম্যাচে সুযোগ পেয়ে। বড় ব্যবধানে বাংলাদেশ হারলেও জিকোর বীরোচিত স্কিল তাকে আলোচনায় এনেছে।

প্রথম দিন অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন জিকো

এরপরও পা মাটিতে রেখেছেন জিকো। বলেন, ‘আমি যেহেতু বেশি ম্যাচ খেলি নাই, মাত্র দুইটা ম্যাচ খেলেছি। সামনে অনেকগুলো ম্যাচ আছে, আমরা যারা তরুণ আছি, তারা যদি এখন থেকে বড় ম্যাচের প্রেসার নিতে পারি তাইলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দল ভালো কিছু করবে।’

দলে যেই সুযোগ পাক আপাতত অনুশীলনে মনোযোগ রাখতে চান জিকো। মনে করেন, নেপালের সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।

বলেন, ‘যেহেতু এটা নেপালের মাঠে খেলা সেহেতু ওদের মাঠে নেপালকে হারানো অনেক কঠিন। এর আগেও নেপালের সঙ্গে খেলেছি। কিরগিজস্তানও অনেক ভালো দল, মোটামুটি এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। এখানে আমরা যদি সবাই নিজেদের সেরাটা দিতে পারি তবে অবশ্যই ভালো কিছু আশা করা যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর