ভারতের আই লিগে কলকাতা মোহামেডানের জার্সিতে এই মৌসুমে সম্ভাব্য শেষ ম্যাচটি সোমবার খেলে ফেলবেন জামাল ভূঁইয়া। প্রায় আড়াই মাসে সাদা-কালো জার্সিতে ১১টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের অধিনায়ক।
এই অভিজ্ঞতা থেকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ফুটবলের পার্থক্য খুঁজে বের করেছেন ডেনমার্ক প্রবাসী এই বাংলাদেশি ফুটবলার।
আগামীকাল চার্চিল ব্রাদার্সের বিপক্ষে মোহামেডানের ম্যাচ উপলক্ষে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে সেই পার্থক্য তুলে ধরলেন তিনি।
বলেন, ‘আমি খুব একটা পার্থক্য দেখি না। ভারতের স্থানীয় ও বাংলাদেশের স্থানীয় ফুটবলাররা প্রায় একই লেভেলের। ভারতে বাংলাদেশের থেকে ফুটবলে বেশি মনোযোগ দেয়া হয়।’
কাতারে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ শেষে গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে কলকাতায় যান জামাল। ইনজুরির কারণে মাত্র একটি ম্যাচ খেলা হয়নি তার। বাকী ১১ ম্যাচে অনিবার্য হিসেবে খেলেছেন।
আই লিগের অভিজ্ঞতা নিয়ে জামাল বলেন, ‘সবমিলে ভালো অভিজ্ঞতা বলব। যখন আসি, আমার জন্য কঠিন ছিল। করোনায় আক্রান্ত ছিলাম। দলটাও নতুন ছিল। বেশিদিন হয়নি একসঙ্গে অনুশীলন করেছি। সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলটা একত্র হতে শুরু করে। এখানে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।’
চার্চিল ম্যাচ শেষে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে কলকাতা ত্যাগ করবেন জামাল। সরাসরি যোগ দিবেন কাঠমাণ্ডুতে। এদিকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় লেগে সাইফের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার কথা আছে জামালের। দেশে থেকে গেলে মোহামেডানের জার্সিতে খেলা মিস করবেন তিনি।
বলেন, ‘খেলোয়াড়দের মিস করব। খেলোয়াড়সহ কোচিং স্টাফদের মিস করব। কেননা সবাই আমরা অনেক ক্লোজ ছিলাম। এটা সাধারণত খুব একটা হয় না।’
ভারতের অন্য ক্লাব থেকে যদি অন্য ক্লাব থেকে অফার আসে তাহলে খেলবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে জামাল বলেন, ‘অবশ্যই। ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। তবে যদি সুযোগ আছে তাহলে আমি খেলব।’
এ ছাড়া নেপালে ত্রিদেশীয় সিরিজে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে মুখিয়ে আছেন জামাল ভূঁইয়া।
বলেন, ‘সবসময় আমাদের জাতীয় দলের জন্য সেরাটাই দিতে চাই। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা সবসময়ের জন্য গর্বের। জাতীয় দলে খেলার জন্যই আপনি অপেক্ষা করে থাকবেন। আপনি সবসময় সেরা দিতে চাইবেন। কারণ যখন আপনার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে আপনি ওই স্মৃতিগুলো মিস করবেন।’
এদিকে, জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে সাবেক জাতীয় ফুটবলার মো. ইকবাল হোসেনকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।