ক্লাব ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা গোলস্কোরারের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও থাকে তার নাম। তবে, গত এক বছর চোটের সঙ্গে লড়াই করে মাঠে অনিয়মিত হয়ে পড়েন সার্হিও আগুয়েরো।পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া এতটাই দীর্ঘ ছিল যে ম্যানচেস্টার সিটির মূল একাদশ থেকে বাদ পড়ে যান এই আর্জেন্টাইন। পেপ গার্দিওলার নতুন সিস্টেমে স্ট্রাইকার পজিশন বা নাম্বার নাইন না থাকায় আরও কমে যায় আগুয়েরোর প্রয়োজন।তাকে ছাড়াই সিটি আছে টেবিলের শীর্ষে। শিরোপা জয়ে ফেভারিট তারাই। এত কিছুর পরও আগুয়েরো ফিরলেন দলে। খেললেন পুরো ৯০ মিনিট। গোলও করলেন দলের হয়ে।
ম্যাচের ঘড়িতে তখন ৫৯ মিনিট। ফুলহ্যাম ডিফেন্ডার টোসিন আডারাবায়োয়ো নিজেদের বক্সে ফাউল করেন ফেরান তরেসকে। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট থেকে ভুল করেননি আগুয়েরো।ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-০। এর আগে অবশ্য জন স্টোন ও গাব্রিয়েল জেসুস দুইবার লক্ষ্যভেদ করেন সফরকারী দলের হয়ে। ফুলহ্যানের মাঠ থেকে অনায়াস জয় নিয়েই ফেরে সিটি।
ইংলিশ জায়ান্টদের হয়ে আগুয়েরোর সবশেষ গোল ছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। আর্জেন্টাইন তারকা ফর্মে ফেরায় দারুণ খুশি সিটি ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা।‘তার ও গাব্রিয়েল জেসুসের জন্য গোলই সবকিছু। সবাই খেলতে চায়। অবশ্যই আগুয়েরোকে আমরা চাই। তার গোলটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সে এত দিন পর পুরো ৯০ মিনিট খেলেছে।’আগুয়েরোর সঙ্গে সিটির চুক্তি শেষ হচ্ছে চলতি বছরের জুনে। নতুন চুক্তি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনাতেও বসেনি ক্লাব। ম্যানচেস্টারের নীল দলে থাকতে না পারলে সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে বন্ধু লিওনেল মেসির ক্লাব বার্সেলোনাতে যেতে পারেন এই আর্জেন্টাইন।বড় জয়ে ম্যানচেস্টার সিটি ৩০ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। ৩০ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৭১ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট এগিয়ে গার্দিওলার দল। তবে ইউনাইটেড ম্যাচ খেলেছে দুটি কম।