পিএসজির মাঠে বুধবার বার্সেলোনা গিয়েছিল অসম্ভব এক লক্ষ্যকে সামনে রেখে। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৪-১ ব্যবধানে হারার পর পিএসজির মাঠে বার্সেলোনার প্রয়োজন ছিল চার গোলের।
দারুণ ফুটবল খেললেও সেটি করতে পারল না তারা। অধিনায়ক লিওনেল মেসি বনে গেছেন ম্যাচের খলনায়ক। ৩০ গজ থেকে দারুণ এক গোল করে দলকে সমতায় ফেরালেও প্রথমার্ধের শেষদিকে তার পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলকিপার কেইলর নাভাস।
এরপর আর গোল করতে পারেনি বার্সা। তাতে দ্বিতীয় লেগ ড্র করে দুই লেগ মিলিয়ে পিএসজির কাছে তারা হারল ৫-২ ব্যবধানে। ২০০৭ সালের পর এই প্রথমবার বাদ পড়ল দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে।
ম্যাচের শুরু থেকেই পিএসজিকে চেপে ধরে বার্সা। দারুণ সুযোগও পান উসমান ডেম্বেলে। কিন্তু কাজে লাগাতে না পারায় লাভ হয়নি বার্সার।
উল্টো বার্সা ডিফেন্ডার ক্লেমন্ট লংলে ৩০ মিনিটের মাথায় পিএসজিকে পেনাল্টি দিয়ে বসেন। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে।
মিনিট সাতেক পরেই অবশ্য বার্সাকে সমতায় ফেরান মেসি। ৩০ গজ দূর থেকে দারুণ এক শটে নাভাসকে পরাস্ত করে বার্সাকে ম্যাচে ফেরান মেসি।
প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে আঁতোয়ান গ্রিজমানকে বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বার্সা। কিন্তু সেখান থেকে গোল করতে পারেননি মেসি, ফলে প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ সমতায়।
দ্বিতীয়ার্ধে বার্সা একের পর এক চেষ্টা করে গেলেও, আর গোলের দেখা পায়নি তারা। বরং দারুণ কিছু সেভ করে পিএসজি গোলকিপার নাভাস একাই আটকে রাখেন কাতালানদের।
ম্যাচ শেষ বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড ক্যুমান বলেন, ‘বাদ পড়ায় আমরা অবশ্যই আশাহত কিন্তু আমরা মাঠে প্রমাণ করেছি কী করা গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি, এটা আমরা ধরে রাখতে পারব।’
আপাতত চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে গেলেও কোপা দেল রে ফাইনালে উঠেছে বার্সা, সঙ্গে টিকে আছে লিগের দৌড়েও।