বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সবশেষ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। প্রার্থিতা বাতিল, কাউন্সিলরশিপসহ নানা অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল নির্বাচন। সেই অভিযোগ পৌঁছায় ফিফার দুয়ার পর্যন্ত।
এবার বহুল আলোচিত এই নির্বাচন নিয়ে বাফুফের কাছে অনেক প্রশ্ন রেখে জবাব চেয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল সংস্থাটি।
ফিফার চিঠির বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে এনেছেন খোদ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
কী ছিল ফিফার চিঠিতে?
জেলা কমিটির বৈঠক শেষে বাফুফে সভাপতি ব্যাখ্যা করলেন, ‘তারা একটা পার্টিকুলার প্রশ্ন করেছে। আমাদের কাউন্সিলর আছে ১৩৯। এটা কি বেশি না? কেন? এটা জানতে চেয়েছে। অলরেডি চিঠি দিয়েছে।’
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফিফার কাছে জবাব দেয়ার আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে সালাউদ্দিন বলেন, ‘বলেছে, সেপ্টেম্বরের আগে বের করতে হবে, কারা ফুটবলের সঙ্গে জড়িত বা জড়িত না। ওদের কেন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এজিএমে তাদের কেন ডাকা হবে?’
নির্বাচনে জয়ের পর অনেকগুলো স্টান্ডিং কমিটি দেয় বাফুফে। কাউন্সিলরশিপসহ বাফুফেতে এত স্টান্ডিং কমিটি দেয়ার যৌক্তিকতাও জানতে চায় ফিফা।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা এত স্টান্ডিং কমিটি কেন করেছি সেটাও জানতে চেয়েছে। ওয়ান ফোর্থ কমিটি রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রশ্ন তুলছে, বিশ্ববিদ্যালয় কেন তোমার ভোটার? শিক্ষা বোর্ড কেন তোমার ভোটার? কেন? ওরা তো যুক্তি ছাড়া কথা বলে না। আমাদের অনেক নাটক হয়েছে তো। তাই ওদের চোখে চোখে আছি।’
ফিফার চিঠিতে নড়েচড়েই বসেছে ফেডারেশন। বুধবার জেলা কমিটি নিয়ে বৈঠক করেছেন সালাউদ্দিন। টাকা পেয়েও লিগ আয়োজনে কেন বারবার অজুহাত দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করছে জেলা সংগঠকরা (নির্বাচনের কাউন্সিলর) তা জানতে চান তিনি।
বলেন, ‘আমি দেখেছি জেলা ফোরাম খুব সক্রিয় ছিল নির্বাচনে। এই ফোরাম যদি ফুটবলে এত সক্রিয় হতো তাহলে ব্যাপারটা অনেক ভালো হতো। নির্বাচন শেষ হলে এদের কাউকে খুঁজে পাবেন না। আপনি ফুটবল করতে বলেন, একটা না একটা ছুঁতা দেখাবেই।’
চতুর্থবারের মতো দায়িত্ব পেয়ে এবার সব জেলাকে লিগ আয়োজনের জন্য অর্থের বরাদ্দ দেয়ার পরও লিগ সম্পন্ন করতে পেরেছে মাত্র ১৩টি জেলা। এই মুহূর্তে লিগ চলছে নীলফামারী ও মেহেরপুরে।
জেলায় লিগ আয়োজনে অপারগতার কারণ হিসেবে কাউন্সিলরদের দায়ী করলেন তিনি।
বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে বাফুফের কোনো সম্পর্ক নাই। আপনি রাজনীতি করলে রাজনীতি করেন, আপনি ফুটবল করলে ফুটবল করেন। আপনি অজুহাত দিতে পারেন না যে, “আমি রাজনীতিতে ছিলাম ফুটবল করতে পারব না” এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না।’
এভাবে চলতে থাকলে কাউন্সিলরশিপ বাতিলে ফিফা উদ্যোগ নিলে তার দায় জেলা সংগঠকদেরই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।