বুনডেসলিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে যেতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে জয় ভিন্ন কোনো উপায় ছিল না বায়ার্ন মিউনিখের।
কিন্তু ম্যাচের মাত্র নয় মিনিটের মধ্যে আর্লিং হালান্ড দুই গোল করে ডর্টমুন্ডকে এনে দেন দুই গোলের লিড। তাতে চার ম্যাচ পর ‘ডার ক্লাজিকারে’ জয়ের স্বপ্নও দেখছিল তারা।
কিন্তু সেসব কিছুই হয়নি। রবার্ট লেওয়ানডোভস্কির হ্যাটট্রিকের সঙ্গে লিওন গোরেৎজকার গোলে ৪-২ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়ে বুনডেসলিগার শীর্ষে পৌছে গেছে বায়ার্ন।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই বক্সের বাইরে থেকে শটে ম্যানুয়েল নয়্যারকে পরাস্ত করে ডর্টমুন্ডকে এগিয়ে নেন হালান্ড। মিনিট সাতেক পরেই দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাকের পর গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই তরুণ নরওয়েজিয়ান।
তবে খেলায় ফিরতে বায়ার্ন সময় নেয় মাত্র ১৭ মিনিট। লিরয় সানের পাস থেকে গোল করে ব্যবধান ২-১ করেন লেওয়ানডোভস্কি।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মিনিটখানেক আগে বক্সের মধ্যে কিংসলে কোম্যানকে ফাউল করেন ম্যাটস হামেলস। প্রাথমিকভাবে পেনাল্টি না দিলেও, ভিডিও অ্যাসিস্টান্ট রেফারির সঙ্গে আলোচনার পর পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
পেনাল্টি থেকে গোল করে বায়ার্নকে সমতায় ফেরাতে ভুল করেননি লেওয়ানডোভস্কি। দুই দল বিরতিতে যায় ২-২ এর সমতায়।
দ্বিতীয়ার্ধের পুরো সময়ে আক্রমণের পর আক্রমণ করে বায়ার্ন। তবে কোনোমতেই গোল পাচ্ছিল না তারা।
তাদের ভাগ্যের দরজা খুলে যায় ৮৮ মিনিটে। ডর্টমুন্ড বক্সে বল পেয়ে ভলি করে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি গোরেৎজকা, ম্যাচে প্রথমবারের মত লিড নেয় বায়ার্ন তাতে।
মিনিট দুয়েক পরেই দারুণ এক ফিনিশে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন লেওয়ানডোভস্কি। তাতে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিশ্চিত হয় বাভারিয়ানদের।
এই নিয়ে বুনডেসলিগায় ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে টানা পাঁচ ম্যাচে জয় পেল বায়ার্ন। এই জয়ে ২৪ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে বুনডেসলিগার শীর্ষে পৌছে গেছে তারা। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে ডর্টমুন্ড আছে ছয় নম্বরে।