প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশকে দাঁড়াতেই দিল না শেখ রাসেল। পাঁচ গোলে বিধ্বস্ত করে চার ম্যাচ পর জয়ে ফিরেছে সাইফুল বারী টিটু বাহিনী। পুলিশকে রীতিমত নাকানিচুবানি খাইয়ে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রাসেল।
অল ব্লুস জার্সিতে জোড়া গোল করেছেন আব্দুল্লাহ পারভেজ। সঙ্গে তিন বিদেশির গোল। এতেই পুলিশের নামের পাশে লেখা হয়ে গেল বড় হার। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ও লিগে ষষ্ঠ হারের স্বাদ পেল পুলিশ।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার লিগের প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে পুলিশকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেয় রাসেল। রেফারির শুরুর বাঁশি বাজানো থেকে ম্যাচে আধিপত্য ধরে রাখে রাসেল।
টানা আক্রমণে ম্যাচের ছয় মিনিটে লিড নিয়ে নেয় রাসেল।
ডান প্রান্ত থেকে হাবিবুর রহমানের লম্বা থ্রোতে ডি-বক্সে বল পেয়ে যান ওবি মোনেকে। মাটিতে পড়ে বল হাওয়ায় ভাসলে হেডে দারুণভাবে বল জালে জড়ান নাইজেরিয়ান এই মিডফিল্ডার।
লিডের পরে আর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি রাসেলকে। একের পর এক আক্রমণে তটস্ত করে রাখে পুলিশের রক্ষণ বাধ। ফল হিসেবে ম্যাচের ২৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। এবার মোনেকের বুদ্ধিদীপ্ত পাস পেয়েই দ্রুতগতির শটে বল ঠিকানায় পৌঁছে দেন লোপেস রদ্রিগেজ।
জোড়া লিডের উল্লাসের রেশ থামতে না থামতে আট মিনিটের মাথায় আব্দুল্লাহ পারভেজের গোলে ব্যবধান ৩-০ করে ফেলে রাসেল। ডান পাশ থেকে খালেকুজ্জামানের পাস ধরে দারুণ এক ভলিতে পোস্টের ডান দিয়ে জালে জড়ান এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
জবাবে প্রথমার্ধে ধারহীন ছিল পুলিশের আক্রমণ। তিন গোলের লিডের স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় রাসেল।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে বলের নিয়ন্ত্রণ কিছুটা হারিয়েছে রাসেল। মাঝমাঠ দখল করে রাখে পুলিশ। তবে গোলমুখে ব্যর্থতা সুযোগ করে দেয় টিটু বাহিনীকে। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে বখতিয়ার দুখশবেকভের ক্রস পেয়ে ডান প্রান্ত থেকে আচমকা শট করেন আব্দুল্লাহ। গোলকিপার সাইফুল ইসলাম খানের গ্লাভস ফসকে বল চলে যায় জালে। এক হালি পূর্ণ করে রাসেল।
এই গোলের পুলিশের ফেরা অসম্ভব করে তোলে রাসেল। ব্যাক করা দূরের কথা উল্টো আরও একটি গোল হজম করে পুলিশ। এবার ম্যাচের ৮৪ মিনিটে লোপেজের সিয়ো আসররভের গোলে ব্যবধান ৫-০ করে ফেলে রাসেল।
টানা দুই ম্যাচে হারের পর এই জয় নিঃসন্দেহে বড় স্বস্তি শেখ রাসেলের। সঙ্গে ১২ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে এলো টিটু বাহিনী। আর ১২ পয়েন্ট নিয়ে আটে অবস্থান করছে পাকির আলীর পুলিশ।