দেশের ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো গুরু অভিযোগ নিয়ে পুরো ফুটবল পাড়ায় তোলপাড়।
আলোচনার বিষয় ‘বিপিএল স্পট ফিক্সিং’। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, (বাফুফে) আশা করছেন ফুটবল সংশ্লিষ্টরা।
ফিক্সিং তদন্তে ফেডারেশনের আন্তরিকতা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
যদিও এ নিয়ে ম্যাচ পাতানো শনাক্তকরণ তদন্ত কমিটি কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এফসি) চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে লিগে স্পট ফিক্সিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বাফুফেকে অবহিত করে। তারই প্রেক্ষিতে লিগের দুই দল আরামবাগ কেসি ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চায় ফেডারেশন। অন্তত পাঁচ ম্যাচে এ ফিক্সিং হয়েছে বলে অভিযোগ এএফসির।
এর প্রেক্ষিতে ফিক্সিং নিয়ে নিজেদের কঠোর অবস্থানের কথা জানায় ফেডারেশন। মঙ্গলবার সভাপতি নিজেদের অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে জানান, দেশের ফুটবলে ফিক্সিং এর কোনো জায়গা নেই।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ফিক্সিং, বর্ণবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে বাফুফের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে বহিষ্কার করা হবে।’
ফিক্সিং নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছর। বাফুফের ওয়েবসাইটে এখনও দেয়া আছে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির তালিকা। কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে কি না বা নতুন কমিটি করা হয়েছে কি না তা নিয়েও স্পষ্ট কিছু পাওয়া যাচ্ছে না।
ফেডারেশনের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গত বছর অক্টোবরে প্রথম বৈঠকে ১৯টি উপ-কমিটি গঠন করেছিল। তবে সেখানেও ম্যাচ পাতানো শনাক্তকরণ কমিটি নিয়ে কোনও উল্লেখ নেই।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অগ্রগতি নিয়ে জানতে নিউজবাংলা যোগাযোগ করে মেয়াদোত্তীর্ণ শনাক্তকরণ কমিটির আহ্বায়ক হুমায়ুন খালিদের সঙ্গে। খোদ কমিটির আহ্বায়ক জানান, তিনি ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নিয়ে কিছুই জানেন না। কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে কি না তা নিয়েও জানেন না।
খালিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি জানি না এই কমিটিতে আছি কি না। তাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। এমনকি, আমি জানি না যে তারা নতুন কমিটি গঠন করেছে বা পূর্ববর্তী কমিটির মেয়াদ বাড়িয়েছে কি না।’
যেখানে গত এক সপ্তাহজুড়ে এ নিয়ে তোলপাড় চলছে, সেখানে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সচিব বলেন, ‘তারা আমাকে কিছু জানায়নি আর গত কয়েক দিনের মধ্যে আমাকে কিছু পাঠায়নি।’
কমিটির বাকি তিন সদস্য হলেন, ইন্দু ভূষণ দেব, সরদার মোহাম্মদ শোয়েব এবং আবু নাইম সোহাগ।
কমিটির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে বাফুফের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো জবাব মেলেনি।