বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্পট ফিক্সিংয়ে আরও তলাবে ফুটবল, আশঙ্কা সাবেকদের

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৭:২৯

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ দেশের ফুটবলের জন্য নিঃসন্দেহে অশনিসংকেত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা উচিৎ।  

স্পট ফিক্সিংয়ের মতো নিষিদ্ধ কালো থাবার আচর পড়েছে দেশের ফুটবলে। অবৈধ টাকার বিনিময়ে ম্যাচ পাতানোর মতো গুরুতর অভিযোগ সর্বোচ্চ লিগের দুই দল আরামবাগ কেসি ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সরগরম পুরো ফুটবল পাড়া।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ দেশের ফুটবলের জন্য নিঃসন্দেহে অশনিসংকেত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা উচিৎ।

স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ দেশের ফুটবলের জন্য বদনাম বইয়ে আনছে বলে মত জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও কোচ হাসানুজ্জামান খান বাবলুর।

তিনি বলেন, ‘ফুটবল এমন একটা পবিত্র অঙ্গন যেখানে দুই নম্বরি করার সুযোগ নেই। এতে ফুটবলের আসল সৌন্দর্য্য ব্যহত হবে। ক্যাসিনো কাণ্ডের মাধ্যমে একটা বিতর্কিত অবস্থানে চলে গেছে ফুটবল। এরপর স্পট ফিক্সিংয়ের মতো এমন অভিযোগ খুব লজ্জ্বাজনক।’

ব্রাদার্স ইউনিয়নের কিংবদন্তি হিসেবে দেশবাসী চিনত বাবলুকে। ব্রাদার্সকে এক সময় পরাশক্তিতে রূপ দেয়ার পেছনে তার অবদান অনস্বীকার্য। তিন দশক পরে এসে এই দলের সঙ্গে স্পট ফিক্সিংয়ের মতো অভিযোগ আসাকে বিষয়টি কীভাবে নিচ্ছেন তিনি?

জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এই সাবেক তারকা বলেন, ‘একসময় ব্রাদার্স ইউনিয়নের নাম যেখানে আবাহনী-মোহামেডানের সঙ্গে উচ্চারিত হতো সেখানে এই কলঙ্কে কলঙ্কিত হবে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে কেমন রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এই ব্রাদার্সের জন্য আমি জেল খেটেছি। ২৪ ঘণ্টা জেলে ছিলাম। আর এখন শুনছি স্পট ফিক্সিং!’

এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে দেশের ফুটবলের অধঃপতন হতে দেরি হবে না মন্তব্য করেন বাবলু।

‘বেশিদূর যেতে হবে না। মালয়েশিয়ার দিকে তাকান। এই স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে মালয়েশিয়ার ফুটবল আজ অস্তিত্ব সংকটে। আর যদি বাংলাদেশের ফুটবলে এটা হয়ে থাকে তাহলে এমনিতেই তো আমরা র‌্যাঙ্কিং ১৯০ উপরে ওঠা-নামা করছি। আরও পতন হবে। এ বিষয়টাতে আমি সাংঘাতিকভাবে লজ্জিত। এর শাস্তি হওয়া উচিৎ।’

৮০-৯০ দশকের ঐতিহ্যের ফুটবলের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে যেটা হতো মোহামেডান-আবাহনী চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ফাইট করছে। ব্রাদার্স ইউনিয়ন হারলে বা জিতলেও তিন নম্বরে থাকবে, তাহলে পয়েন্ট ছাড়ার বিষয় থাকতো। তবুও কেউ ম্যাচ ছাড়ার কথা ভাবেনি।

‘সেটাও হতো লিগের শেষ দিকে। এখন লিগের শুরুতেই এমন হচ্ছে।শুনতাম ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিং হয়। এখন দেখছি ফুটবলেও হচ্ছে। যা দেশের ফুটবলের জন্য অনেক বড় অশনিসংকেত।’

একই কথা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও মোহামেডানের কিংবদন্তি ফুটবলার কায়সার হামিদের।

বলেন, ‘আমাদের সময় এসব কিছু ছিল না। আমাদের সময় আবাহনী-মোহামেডানের মতো বড় দলগুলো ছোট দলের কাছে পয়েন্ট হারিয়েছে। ১৯৮৫ এর কথা। মোহামেডান লিগে দুইবার আবাহনীকে হারিয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারে নাই।

‘আবাহনীকে হারানোর পর আরামবাগের কাছে হেরেছি ২-১ গোলে। যেখানে ড্র করলেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাই। এখন যদি এমন হতো তাহলে আমরাতো টাকা দিয়ে দিতাম।’

জড়িতদের শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, ‘ঘরোয়া ফুটবল ভালো হলে এই ধরনের স্পট ফিক্সিংয়ের মতো নিষিদ্ধ বিষয়টা হতো না। অভিযোগ ওঠাই একটা ভয়ংকর বিষয়। দৃষ্টান্ত দেখানো উচিত। এই ধরনের অপরাধকর্মে খেলোয়াড়-কর্মকর্তা যারাই জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত।’

এ বিভাগের আরো খবর