দেশের প্রিমিয়ার লিগের শুরু থেকেই রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিযোগ-সমালোচনা। বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। সম্প্রতি লিগের বসুন্ধরা কিংস-শেখ জামালের ম্যাচের পর বিতর্ক পৌঁছেছে অন্য মাত্রায়। এতেই নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
বিতর্ক এড়াতে ফিফার দ্বারস্থ হচ্ছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। পাঠানো হয়েছে ম্যাচের ভিডিও। বিচার-বিশ্লেষণ করে জাজমেন্ট জানাবে ফিফা।
রেফারি বিতর্ককে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বসেছি। কেউ কেউ বলেছে গোল, কেউ কেউ বলে গোল হয়নি। আমরা এই ভিডিওটা ফিফার কাছে পাঠিয়েছি।
‘ফিফার মতামতের জন্য। ওদের এক্সপার্টরা আছেন। তাদের মতামত না আসা পর্যন্ত আমাদের উচিত নয় এ বিষয়ে কমেন্ট করা।’
এবার চলতি লিগের বেশ কয়েকটি ম্যাচে রেফারি বিতর্ক জড়িয়েছেন। এই বিতর্কের কিছু দাবি অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন ফেডারেশনের সভাপতি।
সালাউদ্দিনের ভাষ্য, ‘এই লিগটা অনেক বেশি কম্পিটিটিভ। আর রেফারি নিয়ে অভিযোগটা অনেক আগে থেকেই করে আসছে ক্লাবগুলো। কিছু কিছু বেইজলেস ট্রিটমেন্ট দিচ্ছে যারা ক্লাব চালায়, কর্মকর্তারা।’
‘রেফারির প্রবলেম গোটা পৃথিবীতে আছে, এটা নতুন কিছু না। ফিফা নতুন একটা অর্গানাইজেশন করেছে ভিএআর ব্যবহার করে। এ ছাড়া আপনি যদি দেখেন ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গোল’ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। আমাদের এখানে হারলেই আমরা রেফারির কমপ্লেইনটা করি। মাঝেমাঝে যুক্তি থাকে মাঝেমাঝে থাকে না।’
এ সময় বাফুফে ভবনেই নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সামনে কিংস-জামালের ভিডিও দেখেন সভাপতি। গোল করার আগে শেখ জামালের ফরোয়ার্ড পা ওমর জবে তপুকে ফাউল করেছেন কী না দেখেছেন।
তিনি বলেন, ‘টিভির বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে বিভিন্নভাবে জাজমেন্ট দেয়া যায়। এক অ্যাঙ্গেল থেকে মনে হতে পারে গোল, অন্য অ্যাঙ্গেল থেকে ফাউল মনে হতে পারে।’
খেলোয়াড় জীবনের উদাহরণ টেনে সালাউদ্দিন রেফারিদের নিয়ে বলেন, ‘আমি কারও পক্ষে নিচ্ছি না। আমি মনে করি না রেফারিরা নিরপেক্ষ নন। আমি নিজেও খেলেছি তো, হারলে বলে উঠার প্রবণতা থাকে, রেফারির দোষ।’
দোষ যারই থাকুক, আপাতত ফিফার মতের অপেক্ষায় আছে ফেডারেশন। রেফারি নিয়ে বিতর্ক এড়াতে একটা তদন্ত কমিটি করার কথাও ভাবছেন ফেডারেশনের টানা চতুর্থবারের সভাপতি।