নয় গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পারকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে করে এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে এভাটরন।
শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই পরাজিত হয়েছে স্পার্স। এর মধ্যে বুধবারের বিদায়ে ১৩ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে এফএ কাপের সাফল্যও এখন তাদের কাছে অতীত।
৫-৪ গোলের পরাজয়টাকে ‘হকি স্কোর’বর্ণনা করে মরিনিয়ো বলেছেন,‘সুযোগ তৈরির থেকে রক্ষণভাগের ভুল যদি কম হয় তবে একমাত্র আক্রমনাত্মক ফুটবল দিয়েই ম্যাচ জয় করা সম্ভব। কালকের ম্যাচটি ছিল ইঁদুর-বিড়াল দৌঁড়ের মত। ইঁদুর ছিল আমাদের রক্ষনভাগের ভুল আর বিড়াল ছিল আমাদের পারফরমেন্স। আমরাও গোল করেছি। কিন্তু সেগুলো জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।’
গুডিসন পার্কে টটেনহ্যামের শুরুটা দুর্দান্ত হয়। ম্যাচের তিন মিনিটেই ডেভিনসন সানচেসের গোলে এগিয়ে যায় সফরকারী দল। তবে রক্ষণভাগের ভুলে বেশ কিছু ম্যাচে হারতে হয়েছে টটেনহ্যামকে। বুধবারও তার ব্যতিক্রম ছিলনা।
সেই সুযোগে বিরতির আগে ডোমিনিক ক্যালভার্ট-লুইন, রিশারলিসন ও জিলফি সিগুর্ডসনের স্ট্রাইকে সাত মিনিটে তিন গোল করে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় এভারটন। প্রথমার্ধের স্টপেজ টাইমে এরিক লামেলা ও ৫৭ মিনিটে সানচেজের দ্বিতীয় গোলে সমতায় ফিরে স্পার্সরা।
৬৮ মিনিটে আবারো এভারটনকে এগিয়ে দেন রিশারলিসন। গোঁড়ালির ইনজুরি কাটিয়ে বদলি হিসেবে দলে ফিরেছিলেন হ্যারি কেইন। সন হং-মিনের ক্রস থেকে তার দারুণ হেডে ম্যাচ শেষের সাত মিনিট আগে আবারও সমতায় ফিরে টটেনহ্যাম।
ম্যাচের নাটকীয়তা তখনও বাকি ছিল। ৯৭ মিনিটে সিগুর্ডসনের স্কুপ থেকে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে এভারটনকে দারুন এক জয় উপহার দেন বার্নার্ড। এর মাধ্যমে ১৯৯৫ সালের পর প্রথম কোনো শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে এখনো টিকে থাকলো টফিস।