ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর কারণ জানতে তার দুই নার্স ও এক মনোবিজ্ঞানীকে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন। মস্তিষ্কের সফল অস্ত্রোপচার শেষে বুয়েনেস আইরেসের একটি হাসপাতাল থেকে মুক্তি পাওয়ার দুই সপ্তাহ পর ২৫ নভেম্বর হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ৬০ বছর বয়সী ফুটবল ঈশ্বর।
চিকিৎসকদের কোনো ধরনের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে কি না সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে আর্জেন্টিনার কর্তৃপক্ষ।
সন্দেহের তালিকায় আগে থেকেই আছেন ম্যারাডোনার নিউরোসার্জন লিওপলদো লুকে ও সাইকিয়াট্রিস্ট আগুস্টিনা কোসাচভ। তার মৃত্যুর পর তাদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়।
আর্জেন্টিনার সান ইসিদ্রোর আইনজীবী কার্যালয়ের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানায়, মারা যাওয়ার কয়েক মাস আগে ম্যারাডোনার চিকিৎসা করা মনোবিজ্ঞানী কার্লোস দিয়াস ও দুই নার্স দাইয়ানা হিসেলা মাদ্রিদ ও রিকার্দো আলমিরনকে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।
ম্যারাডোনার আইনজীবী মাতিয়াস মোরলা ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল সার্ভিসের সমালোচনা করে ফুটবল কিংবদন্তির মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের অনুরোধ করেন।
১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের মৃত্যুর পর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে খবরে প্রকাশ পায় যে, ম্যারাডোনার অপারেশনের পর যথাযথ যত্ন নেয়া হয়নি এবং কর্মীরা তাকে অ্যালকোহল ও গাঁজা সরবরাহ করেছেন।
ময়নাতদন্তে ম্যারাডোনার মরদেহে অ্যালকোহলের পাশাপাশি কোনো প্রকার মাদকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।