ফেডারেশন কাপ জেতার পর লিগেও দুর্দান্ত পারফর্ম করে যাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। তিন লাতিন ফুটবলারের নৈপুণ্যে শিরোপা লড়াইয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। সোমবারও কুমিল্লায় ঘরের মাঠে লাতিন জাদুতে মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে লিগে টানা সপ্তম ম্যাচে জয় পেল কিংস।
কুমিল্লার শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাকে ৩-০ গোলে হারায় অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। দারুণ দুই গোল করেন রবসন রবিনিয়ো ও রাউল বেসেরা। বদলি নেমে বল জালে জড়ান ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সুবজ।
ঘরের মাঠে আধিপত্য নিয়ে ম্যাচ শুরু করে কিংস। মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণে আক্রমণের পর আক্রমণ করে যায় ব্রুজনের শিষ্যরা। তার ফল আসে দ্রুত। ১০ মিনিটের মাথায় লিড নিয়ে ফেলে কিংস।
মুক্তিযোদ্ধার ডিফেন্ডার সেলিম রেজার পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডি-বক্সের ভেতরে থেকে মাটি কামড়ানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন রবিনিয়ো। এ গোলে কিংসের জার্সিতে লিগে নিজের ষষ্ঠ গোলটি আদায় করে নেন এই ব্রাজিলিয়ান।
দারুণ দলীয় সমন্বয়ে ম্যাচের ৪৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে কিংস। মিডফিল্ডার বিপলুর বাড়িয়ে দেয়া বল ব্যাক পাসে ডি-বক্সের সামনে এগিয়ে দেন রবিনিয়ো।
ব্রাজিলিয়ানের বুদ্ধিদীপ্ত পাস বুঝতে ভুল করেননি বেসেরা। বল পেয়ে ডি-বক্সের ভেতর থেকে গোলকিপার রাজিবকে বোকা বানান এই আর্জেন্টাইন।
জোড়া গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় কিংস।
পিছিয়ে থেকে অল্প কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় মুক্তিযোদ্ধা।
৭২ মিনিটে মিনহাজুল বাল্লুর কর্নার থেকে হেড করেন মুক্তিযোদ্ধার জাপানিজ ফুটবলার কাতো। তার হেড থেকে দলকে বিপদমুক্ত রাখেন কিংসের গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো।
তার ঠিক চার মিনিট পরেই মুক্তিযোদ্ধাকে কোণঠাসা করে ব্যবধান বাড়ায় কিংস।
ডান প্রান্ত থেকে ৭৬ মিনিটে বেসেরার বানিয়ে দেয়া বল সিক্স ইয়ার্ডের ভেতর থেকে আলতো টোকায় গোলকিপার রাজিবকে পরাস্ত করেন সবুজ। শেষ তিন ম্যাচে এটা তার দ্বিতীয় গোল।
এরপরে আর খেলায় ফেরা সম্ভব হয়নি মুক্তিযোদ্ধার। ঘরের সমর্থকদের জয়ের উল্লাসে ভাসিয়ে পুরো পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিংস।
সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলেও নিজেদের শীর্ষস্থান মজবুত রাখে তারা। সাত ম্যাচের সবগুলো জিতে ২১ পয়েন্ট কিংসের ঝুলিতে। আর ছয় ম্যাচে মাত্র তিন পয়েন্ট নিয়ে দশে আছে মুক্তিযোদ্ধা।