২০০৩ সাল। সেবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২-১ গোলে লিভারপুলকে তাদের মাঠে হারায় ম্যানচেস্টার সিটি। এরপর কেটে গেছে ১৮ বছর।মাঝে চারবার প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতেছে সিটি। মাঝারি মানের দল থেকে হয়ে উঠেছে ইউরোপের অন্যতম সেরা দল। বিশ্বের সেরা ফুটবল কোচ পেপ গার্দিওলা যোগ দিয়েছেন দলে। কিন্তু পালটাতে পারেনি লিভারপুলের মাঠে সিটির ভাগ্য।অবশেষে ১৮ বছর পর অ্যানফিল্ডে জিতল ম্যানচেস্টার সিটি। লিগের গুরত্বপুর্ণ ম্যাচে লিভারপুলকে ৪-১ গোলে হারায় গার্দিওলার দল।দলের বড় জয়ে জোড়া গোল করেছেন ইলকায় গুন্দোয়ান। একটি করে গোল এসেছে রাহিম স্টার্লিং ও ফিল ফডেনের পা থেকে। পেনল্টি থেকে লিভারপুলের একমাত্র গোলটি করেন মোহামেদ সালাহ।ম্যাচের পাঁচ গোলের সবগুলোই এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমার্ধের ৩৮ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো সিটি। কিন্তু পেনাল্টি থেকে সুযোগ হাতছাড়া করেন গুন্দোয়ান।বিরতির পর গুন্দোয়ানের গোলেই লিড নেয় সিটি। বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি চ্যাম্পিয়নদের। ৬৩ মিনিটে সালাহ পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান ম্যাচ। সিটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় গোলের জন্য দায়ী থাকবেন লিভারপুল গোলকিপার আলিসন বেকার। দুইবারই তার দুর্বল ক্লিয়ারেন্সের সুযোগে গোল করেন গুন্দোয়ান ও স্টার্লিং।ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট সাতেক আগে ফডেন নিশ্চিত করেন সিটির বড় জয়।আলিসনের ভুলেই ম্যাচ হেরেছে লিভারপুল মনে করেন ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা বড় দুটো ভুল করেছি। ওখানেই ম্যাচটা শেষ হয়ে গেছে। ম্যাচে যখন আমাদের ভালো সময় যাচ্ছিল ওই মুহূর্তে ওইরকম ভুলের কারণেই খেলাটা শেষ হয়ে যায়।’তার ভুলে ম্যাচ হারলেও ম্যানেজারের সমর্থন পাচ্ছেন আলিসন। বিশ্বের অন্যতম সেরা কিপারদের একজন বলে তাকে অভিহিত করেন ক্লপ।‘এরকম কিছু আর যেন না ঘটে সেই চেষ্টা সে (আলিসন) করবে। আজ রাতের ভুলগুলো ম্যাচ শেষ করেছে সেটা ঠিক। কিন্তু সে আমাদের অসংখ্যবার বিপদের হাত থেকেও রক্ষা করেছে।’এই জয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান আরও মজুবত করেছে সিটি। ২২ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৫০ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঝুলিতে ৪৫ পয়েন্ট। তারা ম্যাচ খেলেছে ২৩টি।