ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দারুণভাবে ছন্দে ফিরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রেড ডেভিলরা শেষ দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে শীর্ষস্থান খোয়ায় নগর প্রতিদ্বন্দ্বি ম্যানচেস্টার সিটির কাছে। তবে, রেকর্ড গড়া জয়ে আবারও নিজেদের সেরা ফর্মে ফিরল ওলে গানা শোলস্কায়ারের দল।নিজ মাঠে সাউদ্যাম্পটনকে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ইউনাইটেড। স্কোরশিটে নাম ওঠান একাদশের সাতজন। জোড়া গোল আসে অ্যান্থনি মার্সিয়ালের পা থেকে।ইউনাইটেডের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় সাউদ্যাম্পটন। স্কট ম্যাকটমিনেকে ভয়ঙ্কর ভাবে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন অ্যালেক্স ইয়াংকেভিটসর।ট্যাকল করতে যেয়ে ম্যাকটমিনের উরূতে আঘাত করেন এই সুইস ডিফেন্ডার। ফলে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই তাকে বের হয়ে যেতে হয় মাঠ ছেড়ে। ১০ জনে পরিণত হয় সফরকারীরা।একজন বেশি নিয়ে খেলার পুরো সুবিধা নেয় ইউনাইটেড। বিরতির আগে চার গোল হজম করে সাউদ্যাম্পটন।১৮ মিনিটে স্কোরিংয়ের শুরুটা করেন অ্যারন-ওয়ান বিসাকা। এর মিনিট পাঁচেক পর লিড দ্বিগুণ করেন মার্কাস র‍্যাশফোর্ড।ইউনাইটেডের আক্রমণের তোড়ে ভেসে যায় সাউদ্যাম্পটনের ডিফেন্স। ৩৪ মিনিটে ইয়ান বেদেরনাক হতাশা বাড়ান নিজেদের জালে বল জড়িয়ে। এর পাঁচ মিনিট পরই গোলের দেখা পান এডিনসন কাভানি।দ্বিতীয়ার্ধেও পালটায়নি ম্যাচের দৃশ্য। একের পর এক আক্রমণে সাউদ্যাম্পটনকে দিশেহারা করে রাখে ইউনাইটেড। এই অর্ধে পাঁচ গোল যোগ করে তারা।একে একে স্কোর করেন মার্সিয়াল, ম্যাকটমিনে ও ব্রুনো ফার্নানদেস। এর মধ্যে দুর্ভাগ্য গ্রাস করে অতিথিদের। ৮৬ মিনিটে বেদেরনাক লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন।ফলে শেষ দশ মিনিট তাদেরকে ৯জন নিয়ে খেলতে হয়। সেই সুযোগে ম্যাচের ইনজুরি টাইমে আরও দুই গোল করেন মার্সিয়াল ও ড্যানিয়েল জেইমস।৯-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রমিয়ার লিগ ইতিহাসের সর্বোচ্চ জয়ের ব্যবধান গড়ে ছুঁয়ে ফেলে নিজেদের গড়া ২৬ বছর পুরনো রেকর্ড।১৯৯৫ সালে ক্রিস্টাল প্যালেসকে একই ব্যবধানে হারায় স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ইউনাইটেড। একই ব্যবধানের জয় আছে লেস্টার সিটিরও।২০১৯-২০ মৌসুমে কাকতালীয় ভাবে তারা ৯-০ গোলে উড়িয়ে দেয় সাউদ্যাম্পটনকেই। টানা দুই মৌসুমে সর্বোচ্চ ব্যবধানে হেরে অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে নাম লেখাল সাউদ্যাম্পটন।ম্যাচ শেষে তাদের ম্যানেজার রালফ হাজেনহুটল বিবিসি স্পোর্টসকে বলেন, ‘কিছু বলার নেই! এটা ভয়াবহ। গতবারও আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম এবারও তাই করতে হবে।’দলের রেকর্ড গড়ার দিনে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত শোলস্কায়ার। বেশি গোল করার মাহাত্ব্য উল্লেখ করে ম্যাচ শেষে ইউনাইটেড বস বলেন, ‘অন্য কারও চেয়ে আমরা ভালো জানি গোল ব্যবধান কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ আমরা গোলে ব্যবধানের কারণে শিরোপা হারিয়েছি।’বড় জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে শোলস্কায়ারের দল। ২২ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৪৪ পয়েন্ট। শীর্ষে থাকা সিটির পয়েন্টও ৪৪। তবে তারা ম্যাচ খেলেছে ২০টি।