ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পায় শেখ জামাল। শট নিতে ডি-বক্সের ভেতরে সলোমন কানফর্ম। গ্যালারিতে শেখ জামাল সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। গোল হলে সম্পূর্ণ হবে প্রত্যাবর্তন। না হলে ড্রয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হবে।
হতাশা নয়, পেনাল্টি থেকে গোল করে দারুণ এক কামব্যাকের গল্প নিয়ে মাঠ ছাড়ে ধানমন্ডির জায়ান্টরা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে দুই দুইবার এগিয়ে গিয়েও হারের মুখ দেখেছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।
আর ফিরে আসার দারুণ গল্প লিখে সাইফবধ করে শেখ জামাল। পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ শেখ জামাল জিতেছে ৩-২ ব্যবধানে।
জোড়া গোল করে দলকে জয় উপহার দেন সলোমন কানফর্ম। আগের ম্যাচে আরামবাগকে ছয় গোলের বন্যায় ভাসানোসহ টানা তিন জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামে শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যরা। আর ফেডারেশন কাপে মনকাড়া ফুটবল উপহার দেয়া সাইফের লিগের চিত্র হতাশার। দুই ড্র আর এক হারে আত্মবিশ্বাস হারানো সাইফের জন্যও ছিল জয়ের হাতছানির ম্যাচ।
সেভাবেই শুরু করে সাইফ। প্রথমার্ধে জোড়া গোলে স্বপ্নের শুরু পায় পল পুটের শিষ্যরা।
ম্যাচের ২২ মিনিটে ডিফেন্সচেরা দারুণ একটা থ্রু দেন জন ওকোলি। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডিফেন্ডার নিরাকে ডজ দিয়ে বাঁকানো শটে বল বারের কোণ বরাবর পাঠিয়ে দেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ১-০ গোলের লিড নেয় সাইফ।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে কাউন্টার অ্যাটাকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা।
এবারে একইরকম অ্যাসিস্ট ফাহিমের পা থেকে। ফাহিমের থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে গোলকিপার জিয়াউর রহমান জিয়াকে ফাঁকি দিতে ভুল করেননি জন ওকোলি।
২-০ ব্যবধানের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় সাইফ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। শেখ জামালের ফিরে আসার শুরু দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে সেট পিস থেকে ওতাবেক ভালিদজানোভের ভাসানো বলটাকে হেডে বারের ডান কোণা দিয়ে ঠিকানায় পৌঁছে দেন সলোমন কানফর্ম।
ঠিক এক মিনিট পর আবারও কাউন্টার অ্যাটাকে সমতায় ফেরে শেখ জামাল। এবার ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া ওমর জবের লং শট ঠিক মতো ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন সাইফের গোলকিপার পাপ্পু হোসেন। এই ভুলের খেসারত দিতে হয় গোল হজম করে। ফিরতি বলে জোরালো ভলিতে বল জালে জড়ান নুরুল আবসার।
এর পর ম্যাচে ছিল অ্যাটাক-কাউন্টার অ্যাটাকের পসরা।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি আদায় করে লিড নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে নেয় শেখ জামাল। সলোমনের দূরপাল্লার শট ডি-বক্সের ভেতরে দেয়াল হয়ে থাকা রিয়াদুল হাসান রাফির হাতে লাগলে পেনাল্টি দেন রেফারি।
পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে দলকে লিড এনে দেন এই গাম্বিয়ান। আর ফেরা হয়নি সাইফের।
টানা চার ম্যাচে জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের তিনে উঠে আসে শেখ জামাল। আবাহনী নেমে চারে চলে যায়। অন্যদিকে এক ম্যাচ বেশি খেলে সাত পয়েন্ট নিয়ে সাইফের অবস্থান পাঁচ।