এক আসর আগেও দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেয় রহমতগঞ্জ এমএফসি। হঠাত যেন ছন্দপতন পুরান ঢাকার জায়ান্টদের। এবার লিগে চতুর্থ রাউন্ড পর্যন্ত মাত্র এক পয়েন্ট পায় তারা। বাকী তিন ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
হ্যাটট্রিক হারের পর লিগে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিল সৈয়দ জিলানীর শিষ্যরা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রোববার উত্তর বারিধারাকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রহমতগঞ্জ।
লিগে উত্তর বারিধারার অবস্থাও নাজুক। প্রথম তিন ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট পায় শেখ জাহিদুর রহমানের দল।
এমন বাস্তবতা নিয়ে রহমতগঞ্জের সঙ্গে প্রথম গোল আদায় করে ম্যাচে এগিয়ে যায় বারিধারা।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের দারুণ ভলিতে বল বারের কোণ বরাবর পাঠিয়ে দিয়ে উল্লাসে মাতেন সুজন বিশ্বাস। প্রাণপন চেষ্টা করেও বল রুখতে পারেননি গোলকিপার লিটন।
লিড নিয়েই বিরতিতে যাওয়ার সুযোগ ছিল তাদের সামনে।
কিন্তু লাগাতার আক্রমণের পর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত মিনিটে সমতায় ফেরে রহমতগঞ্জ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে রেমির শট রক্ষণে ডিফ্লেক্ট হয়ে বক্সের ভেতরে ভেসে ওঠা বলটা আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়ান দিলশাত ভাসিয়েভ।
১-১ ব্যবধানের স্বস্তি নিয়ে বিরতি যায় রহমতগঞ্জ। দ্বিতীয়ার্ধে এসে প্রত্যাবর্তনের দারুণ গল্পই উপহার দিল পুরান ঢাকার দলটি।
কর্নার থেকে ক্রস পান রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার আলা নাসের। নাসের বারে সুযোগ না নিয়ে জটলায় ওত পেতে থাকা ক্রিস রেমির বলয়ের মধ্যে ঠেলে দেন। সিক্স ইয়ার্ড থেকে আনমার্ক হওয়ার সুযোগ কাজে লাগান তিনি। হেডে বল জালে পাঠিয়ে লিড এনে দেন রহমতগঞ্জকে।
৩-১ গোলে হারিয়ে লিগে প্রথম জয়ের দেখা পায় রহমতগঞ্জ। এখনও জয়ের দেখা পায়নি বারিধারা
ম্যাচ তারপরেও হাতের মধ্যেই ছিল বারিধারার। কিন্তু ৫৭ মিনিটে উল্টো চমক উপহার দিল রহমতগঞ্জ। ভাসিয়েভের হেডের পাস থেকে আনমার্কড এনামুল ইসলাম বল নিয়ে রক্ষণকে বোঁকা বানিয়ে গোলকিপারকে ওয়ান টু ওয়ানে বিট করেন।
স্থানীয় এই ফরোয়ার্ডের গোলে মুহূর্তেই ব্যবধান ৩-১ করে ফেলে রহমতগঞ্জ। তারপর আর ফিরে আসা হয়নি বারিধারার। লিগে প্রথম জয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
এ জয়ে পাঁচ ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের আটে আছে রহমতগঞ্জ। এক ম্যাচ কম খেলে এক পয়েন্ট নিয়ে ১২তে নেমে গেল বারিধারা।