বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এই আসরের প্রথম ডার্বি। কাগজে-কলমে শক্তিমত্তা ও ফর্মে এগিয়ে থাকা ঢাকা আবাহনীকে আতিথ্য দেয় মোহামেডান। ঐতিহ্যের উত্তেজনা ফিরে আসে কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দুইবার পিছিয়ে থেকেও আবাহনীকে রুখে দিয়েছে মোহামেডান। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ডার্বি ম্যাচ শেষ হয়েছে ২-২ গোলে।
লিগে প্রথম তিন ম্যাচে জয় পাওয়া আবাহনী অবশ্য দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় নবীব নেওয়াজ জীবন ও ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল আগুস্তোকে ছাড়াই ডার্বিতে নামে।
অন্যদিকে তিন ম্যাচে মাত্র একটি জয় পাওয়া মোহামেডানের সামনে ঘরের মাঠের পূর্ণ সমর্থন ছাড়া যা আছে তা হলো শন লেনের কৌশল। হাই প্রেসিং এবং আক্রমাণত্মক ফুটবল খেলার মন্ত্রে অটল মোহামেডান কোচ।
ডার্বির শুরুটা হয়েছে জমজমাট। সমানতালে খেলতে থাকে দুই দল।
তবে প্রথম গোলের দেখা পায় অতিথিরা।
১৩ মিনিটে মাসিহ সাইঘানির লম্বা ক্রস থেকে হেডে বলটা ফ্রান্সিসকো তোরেসের মাথায় তুলে দেন কারভেন্স বেলফোর্ট। সিক্স ইয়ার্ডের সামনে থেকে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি এই ব্রাজিলিয়ান।
তোরেসের গোলে লিড নেয় ঢাকা আবাহনী। গোলের পর সতীর্থদের উদযাপন
সমতায় ফিরতেও খুব একটা সময় নেয়নি মোহামেডান।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে আমির হাকিম বাপ্পির দুর্বল শটটা পাসে পরিণত হয়ে যায়। তার শট থেকে তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তায় দুর্দান্ত ব্যাক ভলিতে বল ঠিকানায় পৌঁছে দেন সুলায়মান দায়াবাতে। গোল পরিশোধ করে ফেলে সাদা-কালোরা।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় আবাহনী।
আবারও লিড নিয়ে নেয় আকাশী-হলুদরা। এবার তোরেসের শট মোহামেডানের রক্ষণে বাধা পেয়ে পড়ে জুয়েল রানার পায়ের সামনে। জোরাল নিচু শটে বল বারের ডান কোণা বরাবর জাল খুঁজে পেলে এগিয়ে যায় আকাশ-হলুদরা।
জুয়েল রানার গোলে দ্বিতীয় বারের মতো লিড নেয় ঢাকা আবাহনী
২-১ ব্যবধান নিয়ে বিরতি যায় ম্যাচ।
দ্বিতীয়ার্ধে যেন অন্য রূপ ধারণ করে মোহামেডান। সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে আক্রমণের পর আক্রমণ সাজায় স্বাগতিকরা।
ম্যাচে ৬৬ মিনিটে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় মোহামেডান। আবাহনীর ডি বক্সের মধ্যে জটলা থেকে হেডে বল দায়াবাতের সামনে ফেলেন অধিনায়ক উনাই নাগাতা। শূন্যে ভাসা বলটাকে বাই-সাইকেল কিকে ঠিকানায় ফেলেন দায়াবাতে। সঙ্গে ম্যাচে দল ও নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করেন নেন তিনি।
সুলায়মান দায়াবাতের গোলে ২-২ ব্যবধান করে মোহামেডান
২-২ ব্যবধানে ম্যাচ শেষ হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে দুই দল। তবে কুমিল্লার স্টেডিয়ামে চার গোলের এক দারুণ ডার্বি উপহার পায় ফুটবল প্রেমিরা।
এ ড্রয়ে চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ঢাকা আবাহনী। আর এক জয়, এক হার ও দুই ড্রয়ে ছয়ে নেমে গেছে মোহামেডান।