ক্লাবের জার্সিতে ১৫ মৌসুম কাটিয়েছেন। তরুণ তারকা থেকে হয়ে উঠেছেন ক্লাব আইকন ও সর্বোচ্চ গোলদাতা। ম্যানেজার হিসেবে রক্ষা করেছেন বিপর্যয় থেকে। আর তারাই কি না একরকম ঘাড় ধাক্কা দিয়েই বিদায় করে দিল তাকে। তারপরও ক্লাবের প্রতি কোনো ক্ষেদ নেই ফ্র্যাংক ল্যাম্পার্ডের। চেলসি ফুটবল ক্লাব থেকে বিদায় নেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর মুখে খুললেন ক্লাবের সাবেক অধিনায়ক ও কোচ।
নতুন মৌসুমে ১৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৮টি জিতে টেবিলের নয় নম্বরে আছে চেলসি। ক্লাবের খারাপ ফর্মের জন্য হতাশা প্রকাশ করেন ল্যাম্পার্ড। ‘আমি হতাশ এই মৌসুমে ক্লাবকে নিয়ে এগোতে না পেরে এবং আরও ভালো খেলতে না পেরে,’ যোগ করেন ল্যাম্পার্ড।চেলসিকে ফুটবল ক্লাবেই তার ইংলিশ ফুটবলে বড় তারকা হয়ে ওঠা। সেটি মনে রেখেই এক ইন্সট্যাগ্রাম পোস্টে ল্যাম্পার্ড লেখেন, ‘আমার জীবনের বড় একটা অংশ হিসেব দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যমান চেলসি ক্লাবকে ম্যানেজ করা আমার জন্য বিশাল সম্মানের বিষয় ছিল।’ল্যাম্পার্ড যখন চেলসিতে যোগ দেন সেই মৌসুমে দল-বদলের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে ক্লাবটি। ক্লাব ছেড়ে চলে যান সেরা খেলোয়াড় ইডেন অ্যাজার। সেই সময়ে শক্তভাবে দলের হাল ধরেন ল্যাম্পার্ড।কঠিন সেই সময়ে সমর্থকরা তার পাশে ছিলেন উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘ক্লাবের সামনে কঠিন সময় ও চ্যালেঞ্জ আছে জেনেই আমি দায়িত্ব নেই। গত ১৮ মাসে ফ্যানরা যেভাবে আমার পাশে ছিলেন সে জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। আশা করি তারা জানেন এটা আমার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’নিজের সময়ে চেলসি অ্যাকাডেমি থেকে ট্যামি-আব্রাহাম, ক্যালাম হাডসন-ওডোই এর মতো আনকোরা খেলোয়াড়দের মূল একাদশে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার সময় তাদের কথা ভোলেননি ল্যাম্পার্ড।‘চেলসির হয়ে যা অর্জন করেছি সেটা নিয়ে আমি গর্বিত। অ্যাকাডেমির যে সব খেলোয়াড় মূল দলে সুযোগ পেয়ে ভালো করেছে তাদের জন্য আমি গর্বিত। তারাই ক্লাবের ভবিষ্যত,’ যোগ করেন এই সাবেক ইংলিশ মিডফিল্ডার।চেলসির নতুন কোচ হিসেব ইংলিশ মিডিয়ার জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে টমাস টুখেলের নাম। ক্লাব কোনো কিছু নিশ্চিত না করলেও এই জার্মান ট্যাকটিশিয়ান চলতি সপ্তাহেই যোগ দিতে পারেন স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এমনটা বলছে পত্রিকাগুলো।