দেশে করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ফেব্রুয়ারি থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে ভ্যাকসিন সেবা। টিকাদানের অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকছেন দেশের ফুটবলাররা। বিশেষ করে জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের প্রাধান্য দিবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
বাংলাদেশ প্রয়োগ করতে যাচ্ছে অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত টিকা, যেটির উৎপাদন করছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট।
এরই মধ্যে প্রায় ৭০ লাখ টিকা পৌঁছেছে দেশে।
ফুটবলারদের সুরক্ষার স্বার্থে টিকা নেয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ভ্যাকসিন পাওয়া সাপেক্ষে বণ্টন নিয়ে একটা নীতিমালা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় আছে বাফুফে।
এ বিষয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভ্যাকসিনের ব্যাপারে বাফুফে কাজ করছে। ফেডারেশনের সভাপতি নিজেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। ভ্যাকসিন পাওয়া সাপেক্ষে এর বণ্টন কীভাবে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করছি।’
টিকা দেয়ার ব্যাপারে জাতীয় ফুটবলারদের প্রাধান্য থাকছে উল্লেখ করে সোহাগ বলেন, ‘আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি জাতীয় দলের ফুটবলারদের, যারা বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলছেন। এছাড়া, যারা স্টেইকহোল্ডার আছেন, স্ট্যান্ডিং কমিটিসহ জেলা পর্যায়ে ফুটবল কর্মকর্তাদের দেয়ার বিষয়ে একটা নীতিমালা চূড়ান্ত করছি।’
পশ্চিমা দেশগুলোতে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে ভয় তৈরি হয়েছে। তাই টিকা নেয়ার ব্যাপারে তৈরি হয়েছে অনাগ্রহ। অ্যাথলেটদের টিকা নেয়ার খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে ফেডারেশন। বাফুফের মেডিকেল টিমের সঙ্গে পরামর্শ করবে দেশের ফুটবলের অভিভাবক। তাদের পরামর্শকে প্রাধান্য দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক।
সোহাগ বলেন, ‘অবশ্যই বিষয়টি বিবেচনাধীন। বাফুফের মেডিকেল টিমের সঙ্গে ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি আলোচনা করবে বিষয়টি। মেডিকেল টিমের সুপারিশক্রমে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাই কাজ হবে।’
একজন নার্সকে টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে বুধবার বাংলাদেশে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন হচ্ছে। গণটিকাদান শুরু ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে।