মেসুত ওজিল ইংল্যান্ড ছেড়ে এখন তুরস্কে। আর্সেনালের সঙ্গে সাড়ে সাত বছরের ক্যারিয়ার চুকিয়ে এখন তার পূর্বপুরুষদের জন্মভূমি তুরস্কের সবচেয়ে বড় ক্লাব ফেনেরবাচের সঙ্গে চুক্তি করেছেন বিশ্বকাপজয়ী জার্মান এই ফুটবলার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওজিল নিজেই। পরে টুইটারে বিষয়টি নিশ্চিত করে দল ফেনেরবাচেও।
বার্তা সংস্থা এপির তথ্য অনুযায়ী, সহধর্মিনী ও সন্তান নিয়ে এখন তুরস্কে অবস্থান করছেন ওজিল।
এর আগে ২০১৩ সালে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে আর্সেনালে যোগ দেন ওজিল। শুরুতেই গানার্সদের সাফল্য এনে দেন তিনি। জেতান এফএ কাপ ও কমিউনিটি শিল্ডের শিরোপা।
এর বদৌলতে ২০১৫-১৬ ক্লাবের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার বাগিয়ে নেন তিনি। সেবার প্রিমিয়ার লিগে সতীর্থদের দিয়ে ১৯ গোল করান এই জার্মান।
সহধর্মিনী ও সন্তানকে নিয়ে তুরস্কে চলে এসেছেন মেসুত ওজিল
এর পরের মৌসুম থেকে নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকেন ওজিল। একটা ছোট্ট পরিসংখ্যানই তার ‘গানার্স ক্যারিয়ারের সায়াহ্নের’ কথা বলে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত মৌসুমে এই মিডফিল্ডারের তার অ্যাসিস্ট সংখ্যা নয়, আট, দুই ও দুই। যা তার বড়ই বেমানান।
দলের একাদশেও ধীরে ধীরে জায়গা হারাতে থাকেন ওজিল। গানার্সদের বর্তমান স্প্যানিশ কোচ আর্তেতার অধীনে প্রথম ১৬ ম্যাচের ১২টিতেই সুযোগ পান। কিন্তু করোনাভাইরাস বিরতির পর থেকে দলের একাদশতো দূরে থাক স্কোয়াডেও মুছে যেতে শুরু করে ওজিলের নাম। গত বছরের মার্চে সবশেষ ম্যাচটি খেলেছিলেন ওজিল।
তাই তাকে ঘিরে ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন চাউর হয়। কিছু দিন আগে নিজেই তুরস্কের ফেনেরবাচে নিয়ে নিজের পছন্দের কথা জানান।
এ ছাড়া পূর্বপুরুষদের দেশটির প্রতি বরাবরই ভালো লাগার কথা জানিয়ে এসেছেন ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের সঙ্গেও তার উষ্ণ সম্পর্ক। নিজের বিয়ের দাওয়াত দিতে বছর দুই আগে এরদোয়ানের সঙ্গে দেখাও করেন ওজিল।
তুরস্কের ‘রিয়াল মাদ্রিদ’ খ্যাত ফেনেরবাচেতে নাম লেখানো নিয়ে ওজিল বলেন, ‘আমি জার্মানিতে বেড়ে ওঠার সময় ফেনেরবাচের ভক্ত হিসেবে বেড়ে উঠেছি। আমার পছন্দের দল ছিল ফেনারবাচে। (তুরস্কে) তারা স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদের মতো। ওই দেশের বৃহত্তম ক্লাব।’
আর্সেনাল ছাড়ার আগে একটা ফেয়ারওয়েল চেয়েছিলেন ওজিল। সেটা আপাতত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কম।