প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে এসেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। হারলেই হারাতে হবে শীর্ষস্থান- এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে ইউনাইটেডের লক্ষ্য ছিল কোনোভাবেই ম্যাচ না হারা।
শেষ পর্যন্ত সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছেন ওলে গানার সোলশায়ারের শিষ্যরা। গোলশূন্য ড্রয়ে অ্যানফিল্ড থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে এসেছে ইউনাইটেড, তাতে ধরে রেখেছে শীর্ষস্থানও।
শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও অবশ্য আক্ষেপ থাকতেই পারে ইউনাইটেডের। লিভারপুল গোলকিপার অ্যালিসন বেকার দেয়াল হয়ে না দাঁড়ালে পুরো তিন পয়েন্টই যে ঘরে তুলতে পারতো রেড ডেভিলরা। তাতে পয়েন্ট টেবিলে লিভারপুলের সঙ্গে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়াতো ছয় পয়েন্টে।
তবে সেটি হয়নি। আপাতত ব্যবধান আছে তিন পয়েন্টই।
ম্যাচের শুরু থেকেই খেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় লিভারপুল। ১৭ মিনিটের মাথায় ইউনাইটেড বক্সের বাইরে থেকে বল গোল থেকে বেশ দূরে মেরে ম্যাচের প্রথম সুযোগ নষ্ট করেন রবার্তো ফিরমিনো। মিনিট চারেক পরেই জেরদান শাকিরির শট গোলের বাইরে দিয়ে চলে যায় ইউনাইটেড ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে।
মিনিট খানেক পরেই ইউনাইটেডের কর্নার থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে ইউনাইটেডের গোলে শট নেন ফিরমিনো। তার শট ব্লক করা হলে ফিরতি বল বাইরে মারেন মোহামেদ সালাহ।
প্রথমার্ধে আরও কিছু সুযোগ তৈরি করলেও সেখান থেকে গোল করতে পারেনি লিভারপুল। অন্যদিকে প্রথমার্ধে তেমন কোন সুযোগই তৈরি করতে পারেনি ইউনাইটেড।
দ্বিতীয়ার্ধেও লিভারপুল পুরো সময় জুড়ে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসলেও নিজেদের কিছুটা ফিরে পায় ইউনাইটেড। এমনকি, ম্যাচের স্পষ্ট দুটি সুযোগও এই অর্ধে পায় রেড ডেভিলরা।
৭৫ মিনিটে লুক শ এর পাস থেকে গোলমুখে শট নেন ব্রুনো ফার্নান্দেস, কিন্তু সেটি ঠেকিয়ে দিয়ে স্কোরলাইন ০-০ রাখেন অ্যালিসন।
মিনিট আটেক পরেই লিভারপুল বক্সে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে যান ইউনাইটেড মিডফিল্ডার পল পগবা। কিন্তু এবারও লিভারপুলের ত্রানকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন অ্যালিসন। নিজের ও দলের ক্লিন শিট নিশ্চিত করেন সেভ করে।
শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় গোলশূন্য ড্রয়েই শেষ হয় ম্যাচ।
এই ড্রয়ে ১৮ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে আছে ইউনাইটেড। অন্যদিকে ১৮ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল আছে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে।