বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গোল নিয়ে গণ্ডগোল!

  •    
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২১ ১২:১৪

রোনালডো তার রেকর্ড ছাড়ানোর পর ফুটবল সম্রাটের ভেরিফাইড ইনস্ট্যাগ্রাম অ্যাকাউন্টের বায়ো আপডেট করে লেখা হয় ১,২৮৩ গোল করে সর্বকালের সেরা গোলদাতা।

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার সংবাদ শিরোনামে এসেছেন পেলে। ফুটবল সম্রাটের বেশ কয়েকটি রেকর্ড হাতছাড়া হয়েছে গত এক মাসে। ফুটবল সম্রাটের দুই উত্তরসুরি লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোর পায়েই ভেঙ্গেছে তার রেকর্ড। সেখানেই বেঁধেছে গণ্ডগোল।প্রথম রেকর্ডটি ভাঙ্গেন মেসি। ২২ ডিসেম্বর ভায়াদোলিদের বিপক্ষে গোল করে এক ক্লাবের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড নিজের করে নেন আর্জেন্টাইন গ্রেট। ছাড়িয়ে যান সান্তোসের হয়ে পেলের করা ৬৪৩ গোলকে।অসাধারণ এই কৃতিত্বের পর মেসিকে অভিনন্দন জানান স্বয়ং পেলে। বাধ সাধে তার ক্লাব সান্তোস। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তারা দাবি করে ক্লাবটির হয়ে পেলের গোলসংখ্যা ১,০৯১। যার মধ্যে প্রীতি ম্যাচ ও আনঅফিশিয়াল ম্যাচের গোল সংখ্যাও ধরা হয়েছে। সান্তোস অবশ্য ‘আনঅফিশিয়াল’ তকমায় রাজি নয়।একই ঘটনা রোনালডোর ক্ষেত্রেও। পেলের ‘অফিশিয়াল’ ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা পর্তুগিজ মেগাস্টার ছাড়ান নতুন বছরের প্রথম ম্যাচে। সেরি আয় উদিনেসের বিপক্ষে ৩ জানুয়ারি জোড়া গোল করে পেলের ৭৫৭ গোল ছাড়িয়ে যান সিআর সেভেন।আনুষ্ঠানিক গোলের হিসেবে সবার উপরে থাকা ইয়োসেফ বিকানকে ছুঁয়ে ফেলেন রোনালডো ১১ জানুয়ারি। সাসুওলোর বিপক্ষে গোল তাকে এখন যৌথভাবে সর্বকালের সেরা গোলদাতার সম্মান দিয়েছে।

আনুষ্ঠানিকভাবে ৭৫৯ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা ইয়োসেফ বিকান

সেখানেও বিপত্তি। রোনালডো তার রেকর্ড ছাড়ানোর পর ফুটবল সম্রাটের ভেরিফাইড ইনস্ট্যাগ্রাম অ্যাকাউন্টের বায়ো আপডেট করে লেখা হয় ১,২৮৩ গোল করে সর্বকালের সেরা গোলদাতা।সান্তোসের জার্সি ছাড়াও পেলের বাকি গোলগুলো এসেছে ব্রাজিল ও নিউ ইয়র্ক কসমসের হয়ে। এই হিসেবে মেসি, রোনালডো ও বিকান অনেকটাই পিছিয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির চেয়ে।আরেক ব্রাজিলিয়ান বিশ্বকাপ জয়ী রোমারিও ২০০৭ সালে দাবি করেন ১,০০০ ক্যারিয়ার গোলের। ২৪ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এই স্ট্রাইকার খেলেছেন বার্সেলোনা, পিএসভি আইন্দহোফেন এবং ভাস্কো দা গামার মতো ক্লাবে।রোমারিও স্পোর্তিং রেসিফের বিপক্ষে ভাস্কোর হয়ে ২০০৭ সালে স্কোর করে তার ১,০০০ তম গোলের দাবি করলেও ফিফা সেটিকে স্বীকৃতি দেয়নি তখন। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার হিসেব অনুযায়ী ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ী তারকার গোলসংখ্যা ৯২৯। যার মধ্যে রয়েছে ‘আনঅফিশিয়াল’ ম্যাচও।

ফিফার হিসেব অনুযায়ী রোমারিওর গোলসংখ্যা ৯২৯

পেলে, রোমারিওর দেশের ফুটবলার আর্থুর ফ্রেইডেনরাইখের নামও দাবি করা হয় সর্বকালের সেরা গোলদাতা হিসেবে। আর্থুরের বাবা অস্কার ও তার ক্লাব সতীর্থ মারিও আন্দ্রাদের দাবি ছিল ১,২২৯ ম্যাচে ১,৩২৯ গোল করেছেন তিনি এবং সেগুলোর রেকর্ড নথিবদ্ধ করা আছে তাদের কাছে। ১৯৬০ এর দশকে আন্দ্রাদের কাছ থেকে হারিয়ে যায় আর্থুরের রেকর্ড লিপিবদ্ধ থাকা সেই কাগজগুলো।১৯৬৯ সালে ৭৭ বছর বয়সে মারা যান আলঝেইমার্স আক্রান্ত আর্থুর। ফলে, সেই রেকর্ডের আলোচনা চাপা পড়ে অনেকটাই।

আর্থুরের বাবা ও সতীর্থের দাবি ১,৩২৯ গোল করেছেন তিনি

হাজার গোলের তালিকায় পরের নামটি ফ্রানৎস বিন্ডারের। ৩০ ও ৪০ এর দশকে র‍্যাপিড ভিয়েনার হয়ে ৭৫৬ ম্যাচে ১০০৬ গোল করার রেকর্ড এই অস্ট্রিয়ান স্ট্রাইকারের এমনটা দাবি তার ক্লাবের। যদিও ফিফা বা ইউয়েফা স্বীকৃতি দেয়নি এই রেকর্ডের।হাজার গোলের তালিকায় আছেন দুই অলটাইম গ্রেট হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক পুসকাস ও জার্মানির গার্ড মুলারও। ফিফা স্বীকৃত ম্যাচে অবশ্য হাজার গোলের চেয়ে অনেকটাই কম তাদের সংগ্রহ। পুসকাস করেছেন ৭৪৬ অফিশিয়াল গোল। আর মুলারের স্বীকৃত গোলসংখ্যা ৭৩৫।

এ বিভাগের আরো খবর