ফেডারেশন কাপে আগেই নক আউট পর্ব নিশ্চিত ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের। নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন- এমন সমীকরণ সামনে রেখে মাঠে নামে কিংস। শেষ হাসিটা হেসেছে তারাই।
বন্দরনগরীর দলকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই মাঠ ছাড়ে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার ১-০ গোল ব্যবধানে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারায় বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড রাউল বেসেরা। এই হারে গ্রুপ রানার আপ হয়ে শেষ আটে চলে গেল চট্টগ্রাম আবাহনী।
এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় কিংস। আর একই দলকে ১-০ ব্যবধানে হারায় চট্টগ্রাম আবাহনী। তাই এই ম্যাচটি গ্রুপ ‘সি’ এর অঘোষিত ফাইনালে পরিণত হয়।
সবশেষ দুবারের মুখোমুখিতে অস্কার ব্রুজনের কিংসকে হারিয়েছিল মারুফুল হকের চট্টগ্রাম আবাহনী।
তাই এ ম্যাচটা প্রতিশোধ নেয়ারও সুযোগ তৈরি করে দেয় স্প্যানিশ কোচকে।
জমজমাটভাবেই ম্যাচ শুরু হয়। মাঝমাঠে গোছানো ফুটবল উপহার দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নেয় কিংস। ২৩তম মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পায় তারা।
ডি বক্সের ভেতরে প্রায় ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে যান ব্রাজিলিয়ান রবসন রবিনহো। তার শটটা চট্টগ্রাম আবাহনীর রক্ষণে লেগে উপরে উঠলে কিংসের ফরোয়ার্ড রাউল বেসেরার মাথা ছুঁয়ে বারের একেবারে পাশ দিয়ে চলে গেলে হতাশ হয় কিংস সমর্থকরা।
ছয় মিনিট পর একটা সম্ভাবনা তৈরি করে চট্টগ্রাম আবাহনী। ডি বক্সের একটু বাইরে ফ্রি-কিক দিদিয়েরের শটটা বারের উপর দিয়ে বল চলে গেলে সুযোগ নষ্ট হয় চট্টগ্রামের দলটির।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আরেকটা বড় সুযোগ তৈরি করে কিংস। ওয়ান টু ওয়ানে দারুণ সমন্বয়ে ডি বক্সের একটু বাইরে বল পান মাহবুবুর রহমান সুফিল। বলটা নিয়ে শট নেয়ার থেকে গোলকিপার নাইমকে ড্রিবলিং করে এগিয়ে যেতে চান সুফিল। তার ট্রিকটা ভালভাবে আন্দাজ করে আক্রমণ নস্যাৎ করেন নাইম। আরেকবার হতাশ হয়ে ফিরতে হয় কিংসকে।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতি যায় দুই দল।
প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচের সেরা হন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রবসন রবিনহো
দ্বিতীয়ার্ধের তিন মিনিটের মাথায় দারুণ সুযোগ তৈরি করে কাজে লাগায় কিংস। কর্নার থেকে রবসন রবিনহোর ক্রসে হেড করে দলটিকে লিড এনে দেন রাউল বেসেরা। টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে মারুফুল হকের শিষ্যরা। দুই বদলিতে মাঝমাঠের সঙ্গে ভাল কিছু আক্রমণ সাজায় বন্দরনগরীর দলটি।
৬৭ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে রকির ক্রসটা ঠিকমতো পায়ে লাগাতে পারেনি দিদিয়ের। দারুণ সুযোগটা কর্নারের বিনিময়ে বিফল করে দেন কিংসের ডিফেন্ডার খালিদ শাফি।
চট্টগ্রাম আবাহনী সমতায় ফিরতে না পারায় ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা কিংস।
দুই জয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। আর এক জয় আর এই হারে গ্রুপ রানার আপ হয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম আবাহনী।