মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচ। তাও ঢাকা ডার্বি। কোথায় উত্তাপ ছড়ানো এক ম্যাচ হবে, সেখানে হলো একপেশে লড়াই। আবাহনী নাভিশ্বাস তুলে ছাড়ল মোহামেডানের। ৩-০ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়েই মাঠ ছেড়েছে কোচ মারিও লেমোসের আবাহনী।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ম্যাচের শুরুটা অবশ্য দুর্দান্ত খেলেছে আবাহনী-মোহামেডান। একবার সাদা-কালো শিবিরে আক্রমণ তো আরেকবার আকাশী-হলুদ শিবিরে আক্রমণ।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে চেষ্টা করেছিলেন মোহামেডানের মালির ফরোয়ার্ড সুলাইমান। ২৬ মিনিটে রায়হানের লম্বা ব্রো থেকে মাথা ছুয়েছিলেন বেলফোর্ট। কিন্তু বল চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। মিনিট খানেক পরই সুযোগ এসেছিল মোহামেডানের। সুলেমানের বল হেড নিয়েছিলেন শ্যামল বেপারি। কিন্তু লক্ষভ্রষ্ট শটে ব্যর্থ হতে হয় আবারও।
৩১ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল আবাহনী। কিন্তু বেলফোর্টের শটে বল সোজা মোহামেডানের গোলকিপার সুজনের গ্লাভসে চলে যায়। তবে ৪১ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে দেন আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাসি সাইঘানি। রায়হানের লম্বা ব্রা থেকে মাথা ছুঁয়ে মোহামেডানের জালে বল জড়ান তিনি।
৪৩ মিনিটে সমতা আনার সুযোগ পেয়েছিল মোহামেডান। হাবিবুর রহমানের ফ্রি কিক থেকে উড়ে আসা বলে হেড নিয়েছিলেন কামরুল ইসলাম। কিন্তু সফল হতে পারেননি তিনি।
দুই মিনিট পর আবারও আবাহনীর শিবিরে উল্লাস। নিজের ক্লাস দেখেয়েছেন মাসি সাইঘানি। ডান প্রান্ত থেকে নবীব নেওয়াজ জীবনের পাসটা বাতাসে ভাসমান অবস্থায় বাইসাইকেল কিক নেন আফগান তারকা। তার কিকটা মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ায় জুয়েল রানা। ২-০ গোলের লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে আবাহনী।
রায়হানের লম্বা থ্রোই যেন মোহামেডানের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল। ৫৩ মিনিটে আরেকবার সাক্ষী হলো ফুটবল ভক্তরা। রায়হানের থ্রো থেকে বেলফোর্টের হেড থেকে চলে যায় সিক্স ইয়ার্ডের সামনে ওত পেতে থাকা জুয়েলের মাথায়। সেখান থেকে বল নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন জুয়েল।
শেষ পর্যন্ত ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মারিও লেমসের শিষ্যরা। গ্রুপ ডিতে তিন পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেল আকাশী-হলুদ জার্সিধারীরা। নক আউট পর্বের আশা জিইয়ে রাখতে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি মোহামেডান খেলবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের সঙ্গে।
দিনের প্রথম ম্যাচে এ-গ্রুপের খেলায় বাংলাদেশ পুলিশকে ১-০ গোল ব্যবধানে হারিয়েছে শেখ রাসেল।