আর্সেনালের মৌসুম খারাপ থেকে বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শেষ সাত ম্যাচে জয় পায়নি মিকেল আর্তেতার দল। আর মঙ্গলবার রাতে ইংলিশ লিগ কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে গেল তারা। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে আর্সেনালকে।
আর্সেনালের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে শুরুতেই লিড নেয় সিটি। ওলেকক্সান্ডার জিনচেঙ্কোর অ্যাসিস্ট থেকে হেড করে গোল করেন গোলমুখে আনমার্কড থাকা গাব্রিয়েল জেসুস।
নিজ মাঠে পিছিয়ে পড়ার পর কিছুটা সচেতন হয় আর্সেনাল। ৩১ মিনিটে আরেকটি হেডার থেকে সমতা ফেরে ম্যাচে। গাব্রিয়েল মার্তিনেলির ক্রস থেকে স্কোরলাইন ১-১ বানিয়ে দেন আলেকসঁদ লাকাজেত।
আর্সেনালের সাফল্য পুরো ম্যাচে ওইটুকুই। প্রথমার্ধে আর গোল না এলেও দ্বিতীয়ার্ধে পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ম্যাচ আর্সেনালের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যায় সিটি।
৫৪ মিনিটে রিয়াদ মাহরেজের ফ্রি-কিক আর্সেনালের তরুণ গোলকিপার রুনার আলেক্স রুনারসনের গ্লাভস গলে বেরিয়ে যায়।
এর পাঁচ মিনিট পরই ফার্নানদিনিয়োর পাস থেকে ম্যাচ ভাগ্য নিশ্চিত করেন ফিল ফডেন। আর্সেনাল অফসাইডের দাবি করলেও, ভিডিও অ্যাসিস্টটেন্ট না থাকায় রেফারি গোল বাতিল করেননি।
৭৩ মিনিটে জয়ের ব্যবধান বড় করেন আয়মেরিক লাপোঁত। ফডেনের ক্রসে হেড থেকে আসে এই ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডারের গোল।
টুর্নামেন্টে টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন সিটি এবারও পৌছে গেছে শেষ চারে। দলের পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই সন্তুষ্ট পেপ গার্দিওলা। লিগ কাপের সেমিফাইনালের চেয়ে ইপিলে শনি ও সোমবারের ম্যাচ নিয়ে চিন্তিত সিটি বস।
‘আমরা সেমিফাইনালে পৌঁছেছি যেটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখন আমাদের দুই দিনের ব্যবধানে এভারটন ও নিউকাসলকে খেলতে হবে,’ ম্যাচ শেষে বলেন পেপ।
আর্সেনালের বিপর্যস্ত অবস্থা মেনে নিতে পারছেন না মিকেল আরতেতা। এমন হারের পরও আর্সেনাল ম্যানেজার প্রশংসা করেন তার তরুন খেলোয়াড়দের, ‘ফলটা মেনে নেয়া সত্যিই কঠিন। ভবিষ্যতে কাজে লাগবে তেমন কিছুই আমাদের এই হার থেকে নিতে হবে। বিশেষ করে আমাদের তরুণদের কথা বলতেই হচ্ছে। তারা কঠিন একটা পরিস্থিতিতে ভালো খেলেছে।’