নিজের ১৭ বছরের ক্লাব বার্সেলোনাকে ছেড়ে গ্রীষ্মে নতুন ঠিকানা খুঁজে নিতে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তৎকালীণ ক্লাব সভাপতি হোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ তাকে যেতে দেননি। মেসিও আদালতের দারস্থ হওয়ার ঝামেলা এড়াতে শেষ মুহুর্তে সিদ্ধান্ত বদলান।
গত কয়েক বছরে বড় টুর্নামেন্টগুলোয় বিশেষ করে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনার বাজে পারফর্মেন্স ও দলবদল নিয়ে ক্লাব সভাপতির কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় ছেলেবেলার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মেসি।গত চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলে হারার পর মেসি প্রকাশ্যেই ক্লাব সভাপতির সমালোচনা করে কাম্প ন্যু ছাড়ার ঘোষণা দেন। শেষ পর্যন্ত কাতালান রাজধানী ছেড়ে যাওয়া হয়নি ছয়বারের ব্যালন ডর জয়ী ফুটবলারের।
সেই মন কষাকষির রেশ যে এখনও রয়ে গেছে তার খেলা সেটা স্বীকার করেছেন ক্লাব অধিনায়ক। রাতে গত মৌসুমে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার ‘পিচিচি ট্রফি’ গ্রহণ করেন মেসি। এটি তার সপ্তম ‘পিচিচি ট্রফি’। এরপর স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল লা সেক্সতাকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘গ্রীষ্মে বিষয়গুলো নিয়ে আমি বেশ সময়ক্ষেপণ করেছি। আমি এখন ভালো আছি কিন্তু গ্রীষ্মের সময়টা একেবারেই ভালো ছিল না।’
নতুন মৌসুমেও বার্সেলোনা মাঠে সেরা ছন্দে নেই। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ১৬তে কোয়ালিফাই করলেও, লা লিগায় একেবারেই সাধারণ পারফরম্যান্স ২৬ বারের লিগ শিরোপা জয়ীদের। ১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে টেবিলের পাঁচ নম্বরে। উপরে থাকা মাদ্রিদের দুই দল আতলেতিকো ও রিয়ালের চেয়ে আট পয়েন্ট পিছিয়ে ব্লু-গ্রানা।
বরাবরের মতো দলের গড়পড়তা পারফরম্যান্সের জন্য দায়ী করা হচ্ছে মেসিকে। লিগে মাত্র ৬ গোল এসেছে আর্জেন্টাইন তালিসমানের পা থেকে।
নিজের বাজে ফর্ম ও ক্লাবের দুঃসময়ের বিষয়টি অধিনায়কের অজানা নয়। তারপরও আশাবাদী তিনি।
‘জানি ক্লাব প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে, মাঠ ও মাঠের বাইরে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বার্সেলোনার চারপাশে সবকিছুই জটিল মনে হচ্ছে। তারপরও আমি এক্সাইটেড,’ বলেন মেসি।
রাতে ভায়াদোলিদের মাঠে খেলতে নামছে বার্সেলোনা। বাজে সময়কে পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়াবে ক্লাব এমনটা প্রত্যয় মেসির। বার্সেলোনা এই মৌসুমে শিরোপার জন্যই লড়বে এমনটা দাবি করে মেসি বলেন, ‘আমি এখন ভালো বোধ করছি। সবগুলো প্রতিযোগিতায় শিরোপা লড়াই করতে মুখিয়ে আছি।’