আধুনিক জিমনেসিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনার পর এবার নিজস্ব একাডেমির উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। একাডেমির আবাসনের জন্য মতিঝিলে বাফুফে ভবনের পাশে আরামবাগে দুটি বাড়ি ঘুরে দেখেছেন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
ট্যালেন্ট হান্ট প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী বাছাইকৃত ফুটবলাররা জায়গা পাবেন এই একাডেমিতে।
চতুর্থবারের মতো সভাপতি হওয়ার পর থেকেই একের পর এক পরিকল্পনা নিয়ে সামনে আসছেন কাজী সালাউদ্দিন। নির্বাচনের দুই মাসের মধ্যে ইশতেহারে উল্লেখ কথা প্রতিশ্রুতি রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
একাডেমির আবাসনের জন্য আরামবাগের কয়েকটি বাসা ঘুরে দেখেন কাজী সালাউদ্দিনসহ বাফুফের কর্মকর্তারা। পড়াশোনা, খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি ট্রেনিংয়ের সর্বোচ্চ সুযোগ তৈরি করতে চায় ফেডারেশন। জিমনেসিয়ামও ফুটবলারদের জন্য উন্মুক্ত রাখার সুযোগ রাখতে চায়।
সঙ্গে সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য ফেডারেশনের কাছে একাডেমি তৈরি করতে চায় ফেডারেশন। আগামী বছরের শুরুতে একাডেমির কার্যক্রম শুরু করতে চান সালাউদ্দিন।
‘৮-১০ টা বাড়ি ঘুরে দেখব। যেখানে পছন্দ হবে সেখানে চালু করব। অতি শিগগিরই যেন একাডেমির কাজ শুরু করতে পারি তার ব্যবস্থা করছি। এক মাসের মধ্যে ট্রেনিং শুরু করার ইচ্ছা আছে’, বলেন বাফুফে বস।
এর আগে সিলেটে বছর পাঁচেক আগে একাডেমি বানিয়েছিল বাফুফে। নানান সমস্যায় সিলেটে একাডেমির প্রকল্প থমকে গেলে ঢাকায় দুই বছর আগে বেরাইদে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফর্টিজে বিদেশি কোচিং স্টাফ রেখে বয়সভিত্তিক ফুটবলারদের নিয়ে একাডেমি শুরু করে ফেডারেশন। এখন ফর্টিজ থেকে নিজ উদ্যোগে মতিঝিলেই প্রকল্প সরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে তারা।
একাডেমির জন্য ট্যালেন্ট হান্ট প্রকল্পের আওতায় খেলোয়াড় বাছাই শুরু করা হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা থেকে বাছাইকৃত অনূর্ধ্ব-১৪ বয়সের ফুটবলারদের ট্রায়াল নিয়েছে ফেডারেশন। সদ্য শেষ হওয়া একাডেমি কাপের নয়জন ফুটবলারও অংশ নেন ট্রায়ালে।
অনূর্ধ্ব ১৪ ও ২০ নিয়ে এই একাডেমি তৈরি পরিকল্পনা ফেডারেশনের। কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘দুধে যদি জ্বাল দেন তাহলে সরটা উপরে উঠে আসবে। তাই আমরা ট্যালেন্ট হান্ট করে সরটা বের করার চেষ্টা করছি।’
আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রশিক্ষণ শুরু করতে চায় ফেডারেশন। দেশব্যাপী আরেকটি ট্যালেন্ট হান্ট শুরু করতে চায় দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল সংস্থা।