রাশিয়ান সাবেক নেতা ভ্লাদিমির লেনিনের মরদেহের মতো নিজের মরদেহকে জনসমক্ষে প্রদর্শনের জন্য রাখার ইচ্ছা ছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনার।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘দ্য সান’-এর দাবি অনুযায়ী, অক্টোবরে লেখা এক চিঠিতে আর্জেন্টাইন আইনজীবী মাতিয়াস মোরলাকে নিজের এই বিচিত্র খেয়ালের কথা জানান ‘ফুটবল ঈশ্বর’।
২৫ নভেম্বর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়কের। মৃত্যুর পর থেকেই তার মরদেহ নিয়েও শুরু হয় ট্যাবলয়েড মিডিয়াগুলোর তৎপরতা।
কিছুদিন আগে আর্জেন্টাইন এক পত্রিকা প্রকাশ করে, পিতৃত্ব পরীক্ষার জন্য ম্যারাডোনার মরদেহ খুঁড়ে বের করার দাবি করেছেন স্বীকৃতির অপেক্ষায় থাকা তার দুই সন্তান।
এবার সান জানাল, লেনিনের মতো নিজের মরদেহ জনসমক্ষে প্রদর্শনের জন্য রাখতে চেয়েছিলেন ম্যারাডোনা। ট্যাবলয়েডটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৩ অক্টোবর আইনজীবী মোরলাকে ম্যারাডোনা লেখেন, ‘অনেক চিন্তা-ভাবনার পর আমার ইচ্ছা এই যে, মৃত্যুর পর আমার দেহ সংরক্ষণ করা হবে। আমার জেতা ট্রফি ও ব্যক্তিগত প্রিয় জিনিসসহ জাদুঘরে প্রদর্শিত হবে, যাতে করে সবার ভালোবাসা আমি পেতে পারি।’
ম্যারাডোনার বান্ধবী ভেরোনিকা ওহেদার আইনজীবী মারিও বদরি দ্য সানকে জানান, এই ইচ্ছার কথা ম্যারাডোনা তার ভাইদের কাছেও প্রকাশ করেন।
বদরি জানান যে, তারা আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশনকে প্রস্তাব পেশ করবেন। সানকে তিনি বলেন, ‘একটা জাদুঘরের মতো করার পরিকল্পনা আমাদের, যাতে করে তার ভক্তরা নিয়মিত তাকে দেখতে পান।’
আধুনিক বিশ্বে মরদেহ সংরক্ষণ করে প্রদর্শনের রীতি খুব একটা জনপ্রিয় নয়। ১৯২৪ সালে লেনিনের মৃত্যুর পর তার মরদেহ সংরক্ষণ করে দর্শনার্থীদের জন্য রেখে দেয়া হয়েছে মস্কোর রেড স্কয়ারে।গত সপ্তাহে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ম্যারাডোনার দেহাবশেষ সংরক্ষণ করার আদেশ দেয় আর্জেন্টিনার আদালত। মাহালি গিল নামে এক নারী নিজেকে ম্যারাডোনার সন্তান বলে দাবি করে মামলা করলে, এমন সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।
ম্যারাডোনার আইনজীবী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই প্রসঙ্গে জানান, কিংবদন্তি এই ফুটবলারের ডিএনএ নমুনা এরই মধ্যে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ কারণে তার দেহাবশেষ সংরক্ষণ করার প্রয়োজন নেই।