কী ছিল না বার্সেলোনা-ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচে! পেনাল্টি, পেনাল্টি সেভ, সেই সেভ থেকে করা ক্রসে গোল, লাল কার্ড, সেই লাল কার্ড ফিরিয়ে নেওয়া, বার্সেলোনার পিছিয়ে পড়ে এরপর ফিরে আসা এবং তারপর আবার ভ্যালেন্সিয়ার ফিরে আসা।
ন্যু ক্যাম্প দারুণ এক ম্যাচই দেখল নিশ্চিতভাবে। কিন্তু তাতে বার্সেলোনার বিন্দুমাত্র আনন্দ নেই, ঘরের মাঠে যে দুই পয়েন্ট হারিয়েছে রোনাল্ড কুম্যানের দল!
ম্যাচের শুরুটা দারুণ করেছিল বার্সেলোনা। একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছিলেন লিওনেল মেসিরা।
কিন্তু খেলার ধারার বিপরীতে ২৯ মিনিটের মাথায় মুখতার ডিয়াখাবির গোলে এগিয়ে যায় ভ্যালেন্সিয়া। কর্নারে ফাকা জায়গায় হেড করার সুযোগ পেয়ে কোনো ভুল না করে ভ্যালেন্সিয়াকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেন ডিয়াখাবি।
এরপরের মিনিট দশেক দারুণ কিছু আক্রমণ করলেও গোলকিপার মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনের জোরে আর গোল খায়নি বার্সেলোনা। বরং কাউন্টার অ্যাটাকে প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে বসে তারা। ভ্যালেন্সিয়া অধিনায়ক হোসে লুইস গায়া দেখেন লাল কার্ড।
তবে ভিএআরে নিরীক্ষার পর সেই লাল কার্ড বদলে দেয়া হয় হলুদ কার্ড। পেনাল্টি থেকে অবশ্য গোল করতে পারেননি মেসি। ভ্যালেন্সিয়া গোলকিপার হাউমে দমেনেখের দারুণ সেভে আপাত বেঁচে গেলেও সেই ফিরতি বলে জর্দি আলবার ক্রসে গোল করে বার্সাকে সমতায় ফেরান মেসি।
এই গোলটি ছিল বার্সেলোনার হয়ে মেসির ৬৪৩তম গোল। এই গোলটির মধ্য দিয়ে এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডের পেলের সিংহাসনে ভাগ বসান মেসি। এর আগে পেলে সান্তোসের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪৩টি গোল করেছিলেন।
প্রথমার্ধ সমতায় শেষ হলেও ৫২ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় বার্সা। সেন্টার ব্যাক রোনাল্ড আরাউহোর দারুণ এক সিজার কিকে পরাস্ত হন দমেনেখ, এগিয়ে যায় বার্সা।
কিন্তু সেই লিড টেকে মাত্র ১৭ মিনিট। ভ্যালেন্সিয়া অধিনায়ক গায়া পেনাল্টি দেয়ার প্রায়শ্চিত্ত করেন দারুণ এক ক্রস করে। বার্সেলোনা সেন্টার ব্যাক অস্কার মিনগুয়েজার ভুলে সেই ক্রস থেকে গোল করতে ভুল করেননি ম্যাক্সি গোমেজ।
বাকি সময়টুকু দুই দলই আক্রমণের পর আক্রমণ চালালেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। ম্যাচ শেষ হয়েছে ২-২ গোলের সমতায়।
১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনা এখন আছে লা লিগা পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে। অন্যদিকে ১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পয়েন্ট টেবিলের ১২ নম্বরে আছে ভ্যালেন্সিয়া।