‘অ্যাকাডেমি অ্যাক্রিডিটেশন স্কিম’ প্রকল্পের আওতায় আনুষ্ঠানিকভাবে ৭৮টি অ্যাকাডেমিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অথচ সদ্য সমাপ্ত অ্যাকাডেমি কাপ প্রতিযোগিতায় সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছে ফেডারেশনের ‘বাতিল তালিকায়’ থাকা অ্যাকাডেমির খেলোয়াড়রা।
দেশের আনাচে-কানাচে ফুটবল অ্যাকাডেমি নিয়ে আয়োজন করা বসুন্ধরা কিংস বিএফএসএফ অনূর্ধ্ব-১৪ অ্যাকাডেমি কাপের দ্বিতীয় আসরের পর্দা নামে গত শুক্রবার (১১ নভেম্বর)।
টুর্নামেন্টে ওয়ারিয়র স্পোর্টস অ্যাকাডেমি সাতক্ষীরাকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় এফসি ইউনাইটেড ফেনী। আর টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় হয় চ্যাম্পিয়ন দলের ফুটবলার তানভীর হোসেন রাহুল।
আর টুর্নামেন্টসেরা গোলকিপার নির্বাচিত হয়েছেন হৃদয় হোসেন বাবু। দুই গোল আর তিন অ্যাসিস্টে টুর্নামেন্টের গোল্ডেন বল ওঠে রাহুলের হাতে। চ্যাম্পিয়ন দলের হয়ে গ্লাভস হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করা বাবু নির্বাচিত হন সেরা গোলকিপার।
ফেনীর হয়ে খেললেও এই দুই ফুটবলারই মূলত যশোরের আলহাজ্ব নূর ইসলাম স্পোর্টস অ্যাকাডেমি থেকে আসা।
এটা সেই অ্যাকাডেমি যারা সম্প্রতি বাফুফের নিবন্ধন পায়নি।
কোচ সাব্বির আহমেদ পলাশের সঙ্গে দুই ফুটবলার তানভীর হোসেন রাহুল ও হৃদয় হোসেন বাবু
রাহুল-বাবুর সেরা হওয়ার খবরে খুশি অ্যাকাডেমির কোচ সাব্বির আহমেদ পলাশ বলেন, ‘আমি অনেক খুশি যে তারা টুর্নামেন্টের সেরা হয়েছে। আমার অ্যাকাডেমির আরও দুজন ফুটবলার এই টুর্নামেন্টে খেলেছে। এই অ্যাকাডেমিতে যারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তাদের বেশিরভাগই অনেক গরীব পরিবারের। একদিন তাদের হাত ধরেই তাদের পরিবার ভালো অবস্থানে যাবে আশা করি।’
এত ফুটবলার থাকতেও টুর্নামেন্টে দল না পাঠানোর কারণও জানালেন পলাশ।
জাতীয় দলের সাবেক এই ফুটবলার বলেন, “পাইওনিয়ার লিগ খেলেছিলাম গতবার। মেয়র (অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল আলম লিটন) বলেছিলেন ‘টাকা খরচ করে লাভ নেই। যে টাকা দিয়ে খেলবেন সে অর্থ দিয়ে এখন আধুনিক সরঞ্জামাদি কিনে আন।’ তার কথা মতে ফুটবলারদের জন্য সরঞ্জামাদি কেনা হয়েছে।’’
যশোরের আলহাজ্ব নূর ইসলাম স্পোর্টস অ্যাকাডেমি
উল্লেখ্য, বাফুফের কাছে কাগজপত্র জমা দিয়েও স্বীকৃতি মেলেনি আলহাজ্ব নূর ইসলাম স্পোর্টস অ্যাকাডেমির। জাতীয় দলের সাবেক মিডফিল্ডার সাব্বির আহমেদ পলাশ ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাহুল-বাবুদের প্রশিক্ষণ করাচ্ছেন। বেনাপোলের মেয়র আশরাফুল আলম লিটন এই অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন।
লাইসেন্সধারী দুইজন কোচ ও একজন ফিজিও নিয়ে বয়সভিত্তিক তিনটি গ্রুপে প্রায় দেড় শতাধিক খুদে ফুটবলারকে প্রশিক্ষণ দেন।