বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সম্পত্তির লড়াই: ম্যারাডোনার মরদেহ তোলার দাবি

  •    
  • ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৮:৪৯

লারা ও গিল দুই জনই বিশ্বাস করেন, ম্যারাডোনাই তাদের পিতা। এর সত্যতা প্রতিষ্ঠায় আইনি পদক্ষেপ নিবেন তারা।

ফুটবল ঈশ্বর ডিয়েগো ম্যারাডোনা মারা গেছেন এক মাসও হয়নি। এর মধ্যেই তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের আভাস দিয়েছে আর্জেন্টিনার গণমাধ্যম। কারণ, দেশটির আইন অনুযায়ী তার আট সন্তানের মাঝে সম্পত্তি ভাগ করে দেয়ার কথা। তবে সম্প্রতি আরও দুই জন তাদেরকে ম্যারাডোনার সন্তান দাবি করে সম্পত্তির ভাগ চেয়েছেন।

মৃত্যুর আগে ডিয়েগো ম্যারাডোনা আট সন্তানের পিতৃত্বের কথা স্বীকার করেন। এর আগে দীর্ঘদিন তিনি বলে এসেছেন, তিনি ও তার প্রাক্তন স্ত্রী ক্লদিয়া ভিয়াফেনের শুধু দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তারা হলেন জিয়ানিনা ও ডালমা।

এক পর্যায়ে ম্যারাডোনা স্বীকার করেন, তার প্রথম সন্তান ছিলেন ডিয়েগো সিনাগ্রা। তিনি ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে জন্মগ্রহণ করেন; ডালমার জন্মের কয়েক মাস আগে।

সিনাগ্রা, যিনি বর্তমানে ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা জুনিয়র হিসাবে পরিচিত, তিনি তার মা ক্রিশ্চিয়ানা সিনাগ্রার সঙ্গে ইতালিতে বেড়ে ওঠেন এবং ফুটবলার হন।

যদিও ইতালিয়ান আদালত ১৯৯৩ সালে সিনাগ্রাকে ম্যারাডোনার পুত্র হিসেবে রায় দেয়। এর আগে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানানো হলেও তিনি তাতে অস্বীকৃতি জানান। রায়ের প্রায় ২০ বছর পর সিনাগ্রাকে স্বীকৃতি দেন তিনি।

একই সময়ে ম্যারাডোনা জানান, তিনি হানা নামের আরও এক কন্যা সন্তানের জনক। যার জন্ম তার ও ভালেরিয়া সাবালাইনের সম্পর্ক থেকে।

সন্তানদের মায়েদের সঙ্গে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সিনাগ্রা এবং হানাকে মেনে নেন ম্যারাডোনা।

২০১৩ সালে ম্যারাডোনার বান্ধবী ভেরোনিকা ওহেদার গর্ভে তার ছেলে দিয়েগো ফার্নান্দোর জন্মগ্রহণ করার সময় পিতৃত্বের কোনো সমস্যা হয়নি।

কিংবদন্তি এই ফুটবলারের সবশেষ বান্ধবী ছিলেন রসিও অলিভা। তাদের কোনো সন্তান নেই। তবে ২০১৯ সালে কিউবায় তিন সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকার করেন ম্যারাডোনা।

২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কিউবায় মাদকাসক্তির চিকিৎসা চলাকালে হোয়ানা, লু ও হাভিয়েলিতো নামে তিনটি সন্তান হয় তার।

সম্প্রতি আর্জেন্টিনার সান্তিয়াগো লারা ও মাগালি গিল নিজেদের ম্যারাডোনার সন্তান দাবি করেছেন।

লারা ও গিল দুই জনই বিশ্বাস করেন, ম্যারাডোনাই তাদের পিতা। এর সত্যতা প্রতিষ্ঠায় আইনি পদক্ষেপ নিবেন তারা।

২৫ নভেম্বর ম্যারাডোনা মারা যাওয়ার কিছুদিন পরই লারার আইনজীবী এই সত্যতা নিশ্চিতে প্রয়োজনে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য ম্যারাডোনার মরদেহ সমাধি থেকে তোলার দাবি জানান আদালতে।

ডিয়েগো ম্যারাডোনার রেখে যাওয়া সম্পদের মোট মূল্য ঠিক কত তা স্পষ্ট নয়। ইতালিয়ান সরকারকে ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার ঘটনায় তার সম্পত্তির পরিমাণ অনেক কমেছে বলে ধারণা আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমের।

২০১৯ সালে এক ইউটিউব ভিডিওতে নিজের পুরো সম্পত্তি দান করে দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ম্যারাডোনা। তবে আর্জেন্টিনার আইনে এটি সম্ভব নয়।

দেশটির আইন অনুযায়ী কারও সন্তান থাকলে তিনি সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ দান করতে পারেন। বাকি সম্পত্তি পাবেন তার স্ত্রী ও সন্তানরা।

এ বিভাগের আরো খবর