বিজয়ের মাসে ফেডারেশন কাপ দিয়ে মাঠে ফিরছে ক্লাব ফুটবল। প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। তবে আর্থিক সংকটের কারণে টুর্নামেন্টে খেলতে না পারার আশঙ্কায় আছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র।
ইতোমধ্যে ফেডারেশন কাপে অংশ না নেয়ার কথা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) জানিয়েছে টুর্নামেন্টের তিন বারের চ্যাম্পিয়নরা।
গত মৌসুম থেকেই আর্থিক সংকটে ধুঁকছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। বকেয়া আছে ৩৫ ফুটবলারদের পারিশ্রমিক। বকেয়া নিয়ে এই মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি শুরু করলেও দৈনন্দিন খরচের টাকা তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্লাবটিকে।
নতুন মৌসুমে ফেডারেশন কাপ ও লিগে তাদের অংশগ্রহণ এখন অনিশ্চয়তায়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুই বারের চ্যাম্পিয়নরা অংশ না নিলে এক দল কম নিয়েই টুর্নামেন্ট করবে বলে জানিয়েছে বাফুফে। তবে ফেডারেশনের আশা, টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে মুক্তিযোদ্ধা।
তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি অবশ্যই মনে করি, মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব অংশগ্রহণ করবে। শুনেছি এ নিয়ে আলোচনা চলছে এবং আলোচনায় উন্নতিও আছে। মুক্তিযোদ্ধাদের নামে যে সম্পদ আছে, তাতে একটা দল চালানো কঠিন কিছু নয়। একটা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তৈরি হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ক্লাবের মধ্যে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র যাতে খেলে সে জন্য তাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমি কথা বলেছি। আমাদের প্রত্যাশা আশঙ্কার যে কালো মেঘ আছে তা কেটে যাবে এবং দলটি ফেডারেশন কাপে অংশ নেবে।’
আর্থিক সংকটের মধ্যেই ধুঁকে ধুঁকে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে ক্লাবটি। ক্লাব বাঁচাতে পৃষ্ঠপোষক খুঁজছেন বলে জানান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা পৃষ্ঠপোষক খুঁজছি। দেশে বড় বড় অনেক কোম্পানি আছে। কেউ আগ্রহী হলে তাদের কাউকে চেয়ারম্যান করে দেওয়া হবে। পরিচালনা পর্ষদেও আনা হবে।’
অনিশ্চয়তার সুতোয় ঝুলছে মুক্তিযোদ্ধার ভাগ্য। পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে হয়তো হারিয়ে যাওয়ার মিছিলে যোগ হবে আরেকটি ঐতিহ্যবাহী ক্লাব।