'আমি আজ ওয়াদা করলাম, যেভাবে হোক কন্টিনিউশন রাখবো, না হয় আমি আমার পুরো কমিটিকে বলবো রিজাইন করতে। আমিও অন্তর্ভুক্ত।' জাতীয় দলের অনুশীলন ও প্রস্তুতির ধারাবাহিকতা নিয়ে এই কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
শনিবার বাফুফে ভবনে কাতারের সঙ্গে বড় ব্যবধানের হার প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বললে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাউদ্দিন বলেন, 'আমাদের সমস্যা হলো কন্টিনিউশন। আমি যখন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ৪ গোলে হারলাম, আমি যদি ট্রেনিং কন্টিনিউ রাখতে পারতাম তাহলে কাল ওই ২ গোলই থাকতো। আমি যখন নেপালকে আনতে চাইলাম তখন আমরা বোর্ড থেকে অবজেকশন আসে যে টাকা খরচা করা যাবে না; টাকা কই পাব!'
জাতীয় দলকে অনুশীলনের পর্যাপ্ত সময় দিতে দেশের ক্লাবদের ছাড় দিতে হবে বলে মনে করেন বাফুফে প্রধান।
বলেন, 'আমি ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসবো। আমাদের প্লেয়ারদের ছাড়তে হবে। প্লেয়ারদের ট্রেনিং সেশন করবো। আমরা ইউরোপ না যে সাত দিনেই টিম তৈরি হয়ে যাবে। আমাদের কিছু সময় লাগবে। এ জন্য ক্লাবদের ছাড় দিতে হবে। এসব কিছু করতে পারলে আমি আশা করি আগামী তিন ম্যাচে বাংলাদেশ ভালো করবে।'
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আরও তিনটি ম্যাচ বাকী আছে বাংলাদেশের। তিনটিই ঘরের মাঠে। তার আগে প্রস্তুতি হিসেবে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে খেলার লক্ষ্য রেখেছেন তিনি।
সালাউদ্দিন বলেন, 'আমার তিনটা খেলা আছে। তিনটা খেলা খেলতে প্রতিটির আগে ৪ সপ্তাহ অনুশীলন চাই। দুই সপ্তাহ শারীরিক ও দুই সপ্তাহ ম্যাচ খেলব। আমার টার্গেট মালয়শিয়ার, থাইল্যান্ডের সঙ্গে খেলব। এরপর এসে ভারত, আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলবে। তিনটা ম্যাচে আমার ২ কোটি করে ৬ কোটি লাগবে। আমার এখন টাকা যোগাড় করতে হবে। তাহলে আমি খেলোয়াড়দের চাপ দিয়ে ফল আদায় করতে পারি।'
প্রস্তুতির ঘাটতি আর শক্তিমত্তা বিবেচনায় কাতারের কাছে বড় ব্যবধানে বাংলাদেশ হেরেছে বলে মত সালাউদ্দিনের।
'সত্যি কথা আমি ম্যাচ দেখিনি। কারণ বাংলাদেশ খেললে আমি নিতে পারি না। কিন্তু ১৫ মিনিট পর পর আমি কমিন্ট্রি শুনতেছিলাম। আমরা এক মাস আগে ট্রেনিং শুরু করি। কাতার এশিয়ায় এক নাম্বার। আমরা নেপালের সঙ্গে ম্যাচ খেলে কাতার যাই, ওরা কোস্টারিকা, ঘানা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে খেলছিল।'