বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কাতারের বিপক্ষে ৫-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। হেরেও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে তৃপ্ত জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে। অন্যদিকে বড় জয়ের পরও তৃপ্তি নেই কাতারের কোচ ফেলিক্স সানচেজের।
ম্যাচ শেষে কাতারের সঙ্গে নিজেদের ব্যবধান ও প্রস্তুতি বিবেচনায় রেখে সাংবাদিকদের তৃপ্তির কথাই জানালেন জেমি ডে।
বলেন, ‘কাতার এশিয়ার সেরা দল। তারা চার মাস ধরে অনুশীলন করছে। আমরা অনুশীলন করেছি পাঁচ সপ্তাহ। আগের ম্যাচে তারা শক্তিশালী কোরিয়ার বিপক্ষে খেলে এসেছে। আমি মনে করি, তাদের বিপক্ষে ছেলেরা দারুণ খেলেছে।’
এমন হারের মধ্যেও বুক চেতিয়ে খেলেছে গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথমবার সুযোগ পেয়ে গ্লাভস হাতে ১০টার মতো প্রায় ‘নিশ্চিত গোল’ ঠেকিয়েছেন তিনি। জিকোর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ জেমি।
বলেন, ‘আমি মনে করি, জিকোকে খেলিয়ে আমি ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে চমৎকার কয়েকটা সেভ করেছে। (প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে) এটা তার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সে অবিশ্বাস্য এবং বিশ্বমানের কিছু সেভ করেছে।’
অবশ্য ম্যাচের ফল নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে জেমির। বলেন, ‘তবে স্কোরলাইন ৪-০ হলে ভালো হতো।’
কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্য টের পেয়েছেন প্রধান কোচ।
ইংলিশ টেকটিশিয়ান জেমি বলেন, ‘কাতারের মতো বলের নিয়ন্ত্রণ এবং টেকিনিক্যাল সামর্থ্য আমাদের নেই। তবে ছেলেরা শতভাগ দিয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে কাতারের বিপক্ষে খেলার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে।’
এমন জয়েও অতৃপ্তির দেখা মিলল কাতারের কোচ ফেলিক্স সানচেজের কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচ গোল দিয়েছি, কিন্তু আমার মনে হয়, আরও বেশি গোল হতে পারত। দুই ম্যাচের মধ্যে পার্থক্য অনেক। প্রথম লেগের মতো বাংলাদেশ একইভাবে আমাদের বিপক্ষে খেলেছে। কিন্তু আজ আমরা তাদেরকে কোনো সুযোগই দেইনি।’