বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কাতারের সঙ্গে ৫-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচজুড়ে কাতারের মুহূর্মুহূ আক্রমণে তটস্ত ছিল লাল-সবুজের রক্ষণভাগ। গুনে গুনে ৩২ শট নিয়েছে কাতার। গোল ব্যবধানটা আরও বড় হলেও অবাক হবার কিছু ছিল না। কিন্তু তা হয়নি এক জনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে।
তার নাম হলো আনিসুর রহমান জিকো। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথমবারের মতো লাল-সবুজের হয়ে বারের নিচে গ্লাভস হাতে দাঁড়িয়েছেন এই গোলরক্ষক। কাতারের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে একাই বুক চেতিয়ে যা করলেন তা অবিশ্বাস্য।
সেই অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের একটা পরিসংখ্যান তুলে ধরা যাক। ম্যাচজুড়ে জিকো সেভ করেছেন ১০টা ‘নিশ্চিত গোল’! বক্সের ভেতর থেকে পয়েন্ট ব্লাঙ্ক রেঞ্জ থেকে দুটোসহ ঠেকিয়েছেন ৫টা শট। পাঞ্চ আর ক্লিয়ার করেছেন দুটি। আর পুরো ম্যাচে সফল আটবার লং পাস দিয়েছেন।
অর্জন বলতে সোফাস্কোরের দেয়া তথ্যে দেশের ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রেটিং হলো জিকোর। দল ৫ গোল হজম করেও জিকো তুলেছেন ৭.৩ রেটিং।
কাতার ম্যাচে জিকোর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কিছু নমুনা দেয়া যাক।
এক গোলে এগিয়ে কাতার। ৩১ মিনিটের মাথায় ডি বক্সের ভেতর থেকে একটা পাস থেকে পয়েন্ট ব্লাঙ্ক রেঞ্জ থেকে আকরাম আফিফের নেয়া ফ্লিক সেকেন্ডেরও কম সময়ে পা দিয়ে রুখে দেন জিকো।
ওয়ান টু ওয়ান পেয়েও জিকোকে পরাস্ত করতে পারেনি কাতার। ৫৪ মিনিটে ডিফেন্ডার রাফির ভুলে ডি বক্সের ভেতরে একা বল পেয়ে যায় কাতারের আহমেদ আলায়েলদিন। তার মাটি কাঁপানো শটটা পা দিয়ে দারুণভাবে ক্লিয়ার করেন জিকো।
ম্যাচজুড়ে যেন জিকো শো’ই ছিল। ৬২ মিনিটে কাতারের একটা নিখুঁত শট যখন বারের কোনা দিয়ে যাচ্ছিল তখন যেন বাঁজপাখির মতো লাফিয়ে আটকে দেন জিকো।
পুরো ম্যাচেই কাতারের ‘পাকা ধানে মই দিয়েছেন’ তিনি। অর্জন বলতে কাতার ম্যাচের অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিঃসন্দেহে যোগ হবে আরেকটি নাম ‘জিকো’।