বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাতারের বিপক্ষে ‘কঠিন বাস্তবতা’ দেখল বাংলাদেশ

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:১২

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে হেরে দ্বিতীয় লেগেও দোহার আব্দুল্লাহ বিন খালিফা স্টেডিয়ামে কাতারের বিপক্ষে শুক্রবার ৫-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মতো বড় মঞ্চের বাস্তবতা দেখল বাংলাদেশ। হেভিয়েট কাতারের সঙ্গে নিজেদের ব্যবধান বুঝল লাল-সবুজরা। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা ফিফা র‌্যাঙ্কিং বা শক্তিমত্তায় যে যোজন যোজন এগিয়ে তারই একটা অভিজ্ঞতা পেল জামাল ভূঁইয়ারা।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে হেরে দ্বিতীয় লেগেও দোহার আব্দুল্লাহ বিন খালিফা স্টেডিয়ামে কাতারের বিপক্ষে শুক্রবার ৫-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।

জোড়া গোল করেছেন আকরাম আফিফ ও আলমোয়েজ আলী।

রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ই গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা কাতারের বিপক্ষে নামে বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার নামেন আনিসুর রহমান জিকো। ইনজুরির কারণে প্রথম চার ম্যাচে অনুপস্থিত থাকা তপুও ফিরেছেন দলে।

প্রস্তুতি ও যোগ্যতার পার্থক্যটা বোঝা গেল এই ম্যাচে।

ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভয়ংকর রূপ দেখা গেছে কাতারের। ৩ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত কাতার। আকরাম আফিফের ক্রস থেকে আহমেদ আলেয়ালদিনের হেড বারে লেগে ফিরে আসে।

৯ মিনিটে লিড নেয় কাতার। ডি বক্সের ভেতর থেকে আব্দেল আজিজ হাকিমের শট বাংলাদেশের রক্ষণে ডিফ্লেক্ট করে জালে জায়গা করে নেয়।  

২৮ মিনিটে প্রথম কর্নার পায় বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ার ক্রসটা ঠিক সিক্স ইয়ার্ডের উপর দিয়ে ভেসে আসলে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হোন রিয়াদুল হাসান রাফি ও তপু বর্মন।

৩১ মিনিটে কাতারের আরেকটি আক্রমণকে হতাশ রূপ দেন গোলকিপার জিকো। আফিফের ফ্লিকটা দারুণভাবে রুখে দেন তিনি।

তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ৩৪ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে আফিফের নেয়া বাঁকানো শট জাল খুঁজে পেলে জিকোর আসলে কিছু করার ছিল না। একেবারে ডান বারের ডান কোণ বরাবর বল ঢুকলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে কাতার।    

পুরো প্রথমার্ধে হাতে গোনা দুয়েকটি সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেননি সুফিল।

প্রথমার্ধে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে এবার হয়তো ফরমেশন ও কৌশলেও পরিবর্তন আনতে পারেন জেমি ডে। এদিকে আক্রমণে নতুন কৌশল নিয়ে নামতে পারেন কাতারের কোচ ফেলিক্স সানচেজ।

দ্বিতীয়ার্ধেও একই দৃশ্যের অবতারণা। ম্যাচে আধিপত্য বজায় রেখে আক্রমণ সাজাতে থাকে আয়োজকরা। ৫৪ মিনিটেই ব্যবধান বাড়াতে পারত তারা। রাফির ভুল থেকে ডি বক্সের ভেতরে একা বল পেয়ে যায় কাতারের আহমেদ আলায়েলদিন। তার নেয়া শটটা দারুণভাবে রুখে দিয়েছেন গোলকিপার জিকো। ৬২ মিনিটেও দুর্দান্ত একটা সেভ করতে দেখা গেছে জিকোর। কাতারের নেয়া নিখুঁত একটা হেড দারুণভাবে থামিয়ে দেন তিনি। কাতারের এই মুহূর্মুহূ আক্রমণ দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। ৭১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আলমোয়েজ আলীর গোলে ব্যবধান আরেকবার বাড়ায় কাতার (৩-০)।

ম্যাচে ফেরার আশা যেন এই গোলেই কবর হয়ে যায়। যেন বড় জয়ের নেশায় নামে কাতার। ছয় মিনিট পর ব্যবধান ৪-০ করে ফেলে ফেলিক্স সানচেজের শিষ্যরা। আব্দুল আজিজের এগিয়ে দেয়া সহজ পাস থেকে সিক্স ইয়ার্ডের ভেতর থেকে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি আলমোয়েজ আলী।

ম্যাচের অতিরিক্ত মিনিটে আফিফের আরেকটি গোলে কাতার ৫-০ ব্যবধান করে ফেলে।

কঠিন বাস্তবতার আরেকটা পরিসংখ্যান দেয়া যেতে। পুরো ম্যাচে কাতারের বারে একটা শটও নিতে পারেনি বাংলাদেশ। সিংহভাগ সময় বল নিজেদের পায়ে রেখে আক্রমণের পর আক্রমণ করে গেছে কাতার। আর রক্ষণ ও গ্লাভস হাতে গোলকিপিংয়েই যেন মনোযোগী ছিল পুরো দল।

এ হারে পয়েন্ট টেবিলেও তেমন কোন পরিবর্তন নেই। ৫ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতেই থাকল বাংলাদেশ। আর ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কাতার।

এ বিভাগের আরো খবর