কাতারের বিপক্ষে আগের দেখায় খুব ভালো ফল করেনি বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে সেবার জুটেছে ২-০ গোলের হার।
একই দলের বিপক্ষে ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি পর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে এখন দোহায় বাংলাদেশ। শুক্রবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।
শক্তিমত্তায় যেমন, র্যাংকিংয়েও বাংলাদেশ থেকে বেশ এগিয়ে বর্তমান এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতার। বাংলাদেশ যেখানে ১৮৪ নম্বরে, কাতার সেখানে ১২৫ ধাপ সামনে ৫৯-এ।
বাছাইপর্বের ম্যাচের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথমটিতে ৩-২ গোলে হারের পর দ্বিতীয়টিতে জুটেছে ১-০ গোলে পরাজয়।
প্রস্তুতিতেও এগিয়ে কাতার। বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিচ্ছে পাঁচ সপ্তাহ ধরে। কাতারের প্রস্তুতি চার মাসের। বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে শুধু নেপালের বিপক্ষে। অন্যদিকে কাতার খেলেছে কোস্টারিকা, ঘানা ও দক্ষিণ কোরিয়ার মত দলগুলোর বিপক্ষে।
কাতারের মত শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার লক্ষ্য তাই আপাতত এক পয়েন্ট।
‘লক্ষ্য হচ্ছে কমপক্ষে এক পয়েন্ট পাওয়া। কাতার অনেক শক্তিশালী দল। এক পয়েন্ট পাওয়া আমাদের দলের জন্য দারুণ হবে। যদি ভালো খেলতে পারি, তাহলে তো আরও ভালো। কমপক্ষে এক পয়েন্ট চাই। যদি আমরা তিন পয়েন্ট পাই তাহলে দারুণ হবে’, বলেন জামাল।
বাস্তবতা মেনে নিয়ে কাতারকেই ফেভারিট মানছেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। করোনা মুক্ত হয়ে দলের সাথে যোগ দেওয়া এই ব্রিটিশ কোচের হিসাবে বাংলাদেশকে হারাতে না পারলে হতাশ হবে কাতার।
‘আমরা জানি কাতার এশিয়ার সেরা দল এবং তাদের জেতা উচিত। আমার মনে হয় জয় না পেলে তারা হতাশ হবে। আমাদের জন্য লক্ষ্য ভালো খেলা। তাদের প্রত্যাশিত ফল পেতে না দেয়া। আমরা সেরাটিই দেবো’, বলেন জেমি।
প্রস্তুতি মোটামুটি হলেও, জেমির মতে আরও দুই সপ্তাহ অনুশীলন করতে পারলে ভালো হত। তিনি বলেন, ‘ছেলেরা পাঁচ সপ্তাহে খুবই কঠোর অনুশীলন করেছে। এই সময়ে মধ্যে আমরা আমাদের সেরা অবস্থায় আছি। আরও দুই সপ্তাহ পেলে, আরও দুটো ম্যাচ পেলে ভালো হত।’
৪ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কাতারের সঙ্গে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এক পয়েন্ট নিয়ে ই-গ্রুপের তলানিতে আছে জেমি ডের শিষ্যরা। আর ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কাতার।